নুসরাতের দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৫

সাহস ডেস্ক

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দুই শিক্ষকের এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) স্থগিত করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদদৌলা (ইনডেক্স-৩০৪১১১) এবং ইংরেজির প্রভাষক আফসার উদ্দিনের (ইনডেক্স-২০৩০৫০৮) এমপিও স্থগিত করার জন্য এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির মামলা (নম্বর-২৪, তারিখ- ২৭/০৩/২০১৯) ও হত্যা মামলায় (নম্বর-১০, তারিখ- ০৮/০৪/২০১৯) মাদরাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ-উদ দৌলা এবং একই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আফসার উদ্দিন গ্রেফতার হওয়ায় তাদের এমপিও স্থগিত করা হলো।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এমতাবস্থায় এ এস এম সিরাজ উদদৌলা এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক আফসার উদ্দিনের এমপিও স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহোদয়কে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিউদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষ ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও হত্যা মামলা দায়ের এবং তারা গ্রেফতার হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাদের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। ওই দুই শিক্ষকের সব ডাটা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ইএমআইএস (ইলেকট্রনিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) সেলে থাকায় মাউশি মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনার পর ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সোনাগাজী থানায় আরেকটি মামলা (নম্বর ১০) করেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত