অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধের ডাক ববি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩৯

সাহস ডেস্ক

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়াকাটা-বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ার ও কাগজ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা । সেখানে তারা অবস্থান নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান করে টায়ার ও কাগজ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম ইমামুল হক বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যরা সভা করেন। শিক্ষার্থীরা আশা করেছিলেন সিন্ডিকেট সভা থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে বা তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছে। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, সিন্ডিকেটের সভায় উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো ঘোষণা আসবে। কিন্তু সেটা না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে আগামীকাল (আজ) বেলা ১১টা থেকে কাফনের কাপড় পরে কুয়াকাটা-বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ ও আমরণ অনশন পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে মন্তব্য করলে ২৭ মার্চ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২৯ মার্চ উপাচার্য এস এম ইমামুল হক তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত