লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে অনড় ববি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৪৯

সাহস ডেস্ক

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শনিবার শিক্ষক, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকের পর আজ রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে ১৩ তম দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) পদত্যাগের জন্য উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে পদত্যাগ করেননি উপাচার্য এস এম ইমামুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান বলেন, রবিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল শুরু করে। কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে তারা দেখেন সবগুলো ফটক ভেতর থেকে তালা মেরে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে তারা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি।

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একাডেমিক ভবনের সামনে তারা বলেছেন, শনিবার তারা যে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তা ছিল মৌখিক। তাই দাবি পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০টায় সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হওয়া বৈঠকটি ছয় ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, নগর পুলিশ কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, শিক্ষাবিদ মো. হানিফ, প্রবীণ আইনজীবী এস এম ইকবাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হাসিনুর রহমানসহ বেশ কয়েক শিক্ষক এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

বৈঠক শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “উপাচার্য এস এম ইমামুল হকের পদের মেয়াদ রয়েছে প্রায় দুই মাস। এই দুই মাসে তিনি যাতে কর্মস্থলে না আসেন, সে লক্ষ্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে একটি লিখিত সুপারিশ পাঠাব। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

তবে বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না দাবি করে উপাচার্য বলেন, “এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ আলোচনা করেননি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়নি। আমার কিছুই করার নেই।”

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত