গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-গ্রামবাসী মারামারি

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০১৮, ১১:১৮

সাহস ডেস্ক

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও গ্রামবাসীর মধ্যে মারপিটে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মধ্যে ১৫ শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ  জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষের নিউটন মজুমদার (২৩),  লোকপ্রশাসন ১ম বর্ষের তুহিন (২০), মার্কেটিং ৩য় বর্ষের মুন (২২), মুরাদ (২২), পদার্থবিজ্ঞান ১ম বর্ষের আসিফ (২০), সুব্রত (২০),  এআইএস ২য় বর্ষের তিতাস (২১), ম্যানেজমেন্ট মাস্টার্সের অরূপ (২৪), সমাজবিজ্ঞান ২য় বর্ষের মিহিন (২১), নাজমুল ইসলাম পাভেল (২১), নাইম হোসেন (২১), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ৩য় বর্ষের মহসিন (২২), মিজান (২২), সিএসই ২য় বর্ষের সিহাব (২১) এবং আমিনুর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র ও স্থানীয় গোবরা গ্রামের যুবকরা ফুটবল খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্ররা ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করার সময় স্থানীয়রা কয়েক ছাত্রকে মারধর করেন।

এ খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসের সামনের সড়কের পাশের এবং সোবহান সড়কের কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এসময় শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া দুটি মোটরসাইকেলে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় গোবরা গ্রামের লোকজন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ছাত্রদের মারধর করেন। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।

খবর পেয়ে  গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি রাত ১০ টার পরে শান্ত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে অনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত