ভোমরা স্থলবন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১৩:১৮

সাহস ডেস্ক

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে শ্রমিক কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই স্থলবন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে স্থলবন্দরে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা জানান, শনিবার অযৌক্তিক দাবিতে হঠাৎ করে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা। শনিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে বন্দরে আসা একটি ফলবাহী ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড করছিলেন আন্দোলন না মানা কিছু শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা। এ সময় অপর পক্ষের শ্রমিকেরা তাদের ওপর হামলা করেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন সদস্য গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার সঠিক বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কলম বিরতির ঘোঘণা দেওয়া হয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা পণ্য খালাস বাবদ ট্রাক প্রতি ১২০০ টাকা দাবি করে শনিবার কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা আমাদের কিছু শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি ট্রাক থেকে নিজেরাই পণ্য খালাস শুরু করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা তাদের বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এজাজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, প্রতি ট্রাক পণ্য খালাসে লেবার বিল বাবদ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়। তবে শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ১১০০ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছি। ৪টি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে ২টি সংগঠন এটি মেনে নিয়ে কাজ শুরু করে। কিন্তু অপর দুটি সংগঠনের শ্রমিকেরা ১২০০ টাকা দাবি করে কাজ বন্ধ রাখে। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলমান। এর মধ্যে শনিবার বিকালে হঠাৎ করে কিছু শ্রমিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, শনিবার বিকালে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করে কর্মরত এক পক্ষের শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয় অন্য পক্ষ। ওই ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত