উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২২, ১৯:০৪

সাহস ডেস্ক

পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় মঙ্গলবার (১৭ মে) নতুন এডিপি অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত হন। "২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এডিপি অনুমোদন হয়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই এই অনুমোদন," সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

"মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে" উল্লেখ করে বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী, "স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ৯ হাজার ১৩০ কোটি টাকার এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে। যা সব মিলিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা। এই হিসাবে আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট চলতি সংশোধিত এডিপির চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি," বলেন এম এ মান্নান।

অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরেও দেশের সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার, করোনা মোকাবেলা, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরিবহন ও যোগাযোগ বরাদ্দ পেয়ছে মোট বরাদ্দের সর্বোচ্চ প্রায় ২৯ শতাংশ। মূল্যে ৭০ হাজার ৬৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পেয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১৬ শতাংশ। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা ৩৮ লাখ টাকা। মোট বরাদ্দের প্রায় ১২ শতাংশ। গৃহায়ন ও গণপূর্তে বরাদ্দ হয়েছে ২৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের প্রায় ১০ শতাংশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রায় ১৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের প্রায় ৮ শতাংশ। স্থানীয় সরকার পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। কৃষি খাতে ১০ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ ৯ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৪ শতাংশ। শিল্প খাতে পেয়েছে ৫ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ ছাড়াও বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৪ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।

সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত