দাম কমেনি গরুর মাংসের, ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২২, ১৫:১৩

সাহস ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। রমজান মাসে কোনো ঘোষণা ছাড়াই গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনো রাজধানীর বাজারগুলোতে সেই ৭০০ টাকা দামেই বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস। পাশাপাশি মাছ, মুরগী, তেল, পেয়াজ, রসুনের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। শুক্রবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এতথ্য জানা গেছে।

ঈদের পরে ঢাকায় ফিরেছে মানুষ। প্রয়জনীয় বাজার করতে তারা যাচ্ছেন কাঁচাবাজারে। কিনছেন তেল, পেয়াজ, রসুন, সবজির মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো। মাংসের দোকানগুলোতেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার ছুটির দিনে কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা সমাগম বাড়লেও দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

মাংসের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায়। বেড়েছে পাকিস্তানি সোনালী মুরগির দাম। ১৫ দিন আগেও ছিল ২৮০ টাকা। সেই সোনালী মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায় ৩০০ টাকায়, লেয়ার ২৭০ টাকা। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে।

মাংস বিক্রেতা শফিকুল বলছেন, গরুর দাম ও পরিবহন খরচ বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মাংসের দামের ওপর। ঈদ থেকেই গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

কাঠমিস্ত্রী লালন মিয়া মাংস কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাংসের দাম আমাদের নাগালের বাইরে যাচ্ছে। যে দাম তাতে আমাদের মতো মানুষ মাংস খেতে পারবেনা। আগে এক কেজি কিনতাম, আজ আধাকেজি কিনতেও কষ্ট হচ্ছে।

অন্যদিকে মাছের বাজারেও যেন গোশতের প্রভাব। প্রতি কেজি মাঝারি আকারের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। তবে ২ কেজিরগুলো আড়াইশ টাকা, ৩ কেজি বেশি ওজনের রুই-কাতলা ২৮০ থেকে সাড়ে  তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মৃগেল ১৮০-২২০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১৪০ ও বড় ১৮০-২০০ টাকা, বড় সিলভার কাপ মাছের দাম ১৬০-১৯০ টাকা। আইড় ৪০০-৬০০ টাকা। সরপুটি ১৫০-২৫০ টাকা, মলা ২৫০-৩০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, শিং ৩৮০-৫০০, দেশি মাগুর ৪০০-৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০-২০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট সাইজের ইলিশ ৮০০ টাকা, কেজির ওপরে ওজন এমন ইলিশ পিস প্রতি দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৮০০ টাকা।

মাছ বিক্রেতা মোসলেম বলেন, মাছ সংরক্ষণ সুবিধা কম। মাছের সরবরাহ কম। গত ১৫ দিন আগেও রুই-কাতলা মাছ এখনকার চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমে কিনে বিক্রি করেছি।

এছাড়া দাম বেড়েছে রসুনেরও। একদিনের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়লেও আগের মতই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ, ডিম কিনতেও বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তেল, রসুন, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বাড়লেও কিছু সবজির দাম কমেছে। অবশ্য কিছু সবজি দাম বাড়ার তালিকায়ও আছে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত