করোনার মধ্যেও রেকর্ড ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২১, ১৪:১৭

সাহস ডেস্ক

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও রেকর্ড সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে দেশে। এর পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় বৈদেশিক রিজার্ভের প্রবৃদ্ধি ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। ২০২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসে রিজার্ভের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১ জুন) দিন শেষে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

২০২১ অর্থবছরের মে মাসে ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। পয়লা জুলাই থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ২২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২০ অর্থবছরের মে মাসে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। গত বছরের জুলাই থেকে মে মাসে দেশে মোট রেমিটেন্স এসেছিল ১৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।

২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে এর সঙ্গে আরও দুই হাজার টাকা যোগ করে মোট এক লাখ দুই টাকা পাচ্ছেন তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স দুই হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে, রপ্তানিও বেড়েছে। এছাড়াও আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত