করোনায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ কমলেও বেড়েছে প্রবৃদ্ধি

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:০৮

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিদায়ী বছরে আগের বছরের চেয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে ৩ হাজার ৮০৭টি জাহাজ। ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ৩ হাজার ৭২৮টি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক ইউএনবিকে বলেন, করোনার কারণে এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন ছিল। বন্ধ ছিল প্রায় সব ধরনের কাজ। তাই পণ্য আমদানি কম হয়েছে বলে জাহাজও কম ভিড়েছে। এরপরও এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ টন কার্গো (পণ্য) হ্যান্ডলিং হয়েছে বন্দরে। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৯ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৫ টন।

জানা গেছে, সমুদ্রপথে কন্টেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। কন্টেইনার ওঠানামায় ১২টি জেটির ব্যবহার হয়।

স্বাভাবিক সময়ে বন্দরের বহির্নোঙর থেকে জেটিতে ভিড়তে প্রতিদিন গড়ে অপেক্ষায় থাকে ২০ থেকে ৩০টি জাহাজ। তার মধ্যে প্রতিদিন জেটিতে খালাস হয় আট থেকে দশটি। এর আগে সাগরপথে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় বিশ্বের থ্রি মিলিয়নেয়ার পোর্টস লিস্ট থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নাম বাদ পড়তে যাচ্ছে বলে জানান বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম।

এই তালিকায় থাকে বিশ্বের সেসব বন্দরের নাম, যেগুলোয় বছরে ৩০ লাখ টিইইউ (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিটস) কন্টেইনার ওঠানামা করে। ২০১৯ সালে তাতে স্থান পেয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বে এমন সমুদ্র বন্দর ছিল ৬০টি।

এনামুল করিম বলেন, করোনার কারণে বছরজুড়ে আমদানি-রপ্তানি কমে গিয়েছিল। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউ কন্টেইনার ওঠানামা করে। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কন্টেইনার ওঠানামা কমেছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১০ টিইইউ।

বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের যেসব দেশে পণ্য রপ্তানি হয়, সেসব দেশে এখনও করোনার প্রকোপ বেশি। নতুন করে ইউরোপের অনেক দেশে লকডাউন দেয়া হয়েছে, যার সামগ্রিক প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত