৬ দেশের উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করছে বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:০৩

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে ভারত, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও চীনের ক্রস বর্ডার সংযোগ স্থাপনসহ উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। এর জন্য সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। যার মধ্যে একটি ধীরে চলা যানবাহনের জন্য বা স্লো মুভিং ভেহিক্যাল ট্রাফিক (এসএমভিটি) লেন হিসেবে রাখা হবে।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আমদানি-রফতানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করার পথ সুগম হবে। 

‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পে খরচ হবে ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি ৫ লাখ টাকা। তার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৬১৫ কোটি ৪৯ লাখ, বাকি ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ঋণ দেবে চীন নেতৃত্বাধীন এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), যার সদর দফতর বেইজিংয়ে।

একনেক সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আশা করছি, পূর্বদিগন্তে আমাদের যে ওপেনিং আপ হবে, আসাম, ত্রিপুরা, ভুটান, নেপালের সঙ্গে ইত্যাদি। পূর্বদিগন্তে আমরা যেতে চাচ্ছি। এটা ক্রস বর্ডার রোড হবে। চীনের সঙ্গে, মিয়ানমারের সঙ্গে আজ হয়তো একটু উত্তেজনা আছে, আগামীতে আশা করি থাকবে না। উই আর ফ্রেন্ডস (আমরা বন্ধু)। এ রাস্তাটি হলো ৫৬ দশমিক ১ কিলোমিটার। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এটাকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। সব আন্তঃজেলা, আন্তঃদেশ, আন্তর্জাতিক সড়ককে চার থেকে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। এটা আমাদের জাতীয় লক্ষ্য।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সিলেট জেলার সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলাজুড়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩০ জুন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয়ের ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ৬১৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এছাড়া প্রকল্প ঋণ (এআইআইবি) পাওয়া যাবে ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। প্রকল্পটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় সড়ক পেভমেন্ট নির্মাণ করা হবে ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। এসফল্ট প্লান্ট ও ইমালসন প্লান্টসহ রক্ষণাবেক্ষণ ওয়ার্কশপ তৈরি করা হবে একটি, কালভার্ট নির্মাণ করা হবে ৪৯টি। যার দৈর্ঘ্য ৬২৫ দশমিক ৫ মিটার। ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে ১০টি। টোল প্লাজা নির্মাণ করা হবে একটি। এক্সেল লোড নির্মাণ করা হবে একটি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত