প্রত্যাহার করা হচ্ছে মোবাইলে কথা বলার বাড়তি শুল্ক

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২০, ১৩:০৭ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২০, ১৪:৫১

অনলাইন ডেস্ক

মোবাইল ফোন সেবার ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফলে আগের মতোই ১০ শতাংশ সম্পূরক থাকবে। এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০ সালের অর্থবিল পাস করার সময় অর্থমন্ত্রী বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।

এবারের বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট ঘোষণার পরপরই তা কার্যকরও হয়ে গেছে। কিন্তু বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা হয়।

বাজেট ঘোষণার পরপরই মোবাইল ফোন অপারেটররা বাড়তি সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এতে গ্রাহকদের খরচ বেড়েছে বলে তারা জানায়।

বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সব ধরনের সম্পূরক শুল্ক কার্যকর হয়ে যায়। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, খুদে বার্তাসহ অন্যান্য সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১ শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার পায় ২৫ টাকা। সম্পূরক শুল্কহার আবার আগের জায়গায় ফেরত গেলে সরকার পাবে ২২ টাকা। আর গ্রাহক ৭৮ টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে ৩ টাকা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শুল্ক-করের ২২ হাজারের বেশি মামলা আছে। এসব মামলায় অনাদায়ি পড়ে আছে ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব।

এবার ভ্যাট আইনের ৪৭ নম্বর ধারায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি করযোগ্য সরবরাহ পর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট কর মেয়াদে যে পরিমাণ উপকরণ ব্যবহার করেন, ওই ব্যক্তির প্রাপ্য উপকরণ কর রেয়াত সেই পরিমাণের ভিত্তিতে নিরূপণ হবে। এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফলে কোনো ব্যবসায়ী ১০০ টাকার উপকরণ কিনলে পুরোটাই ফেরত পাবেন। প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্নেও সময় দেওয়া উপকরণ ব্যবহারের হিসাব অনুযায়ী রেয়াত নিতে হবে না।