গ্রামীণফোনকে আটকাতে বিটিআরসি'র নতুন বিধিনিষেধ

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২০, ০২:১৬

সাহস ডেস্ক

দেশে গ্রাহকসংখ্যায় শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে আটকাতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে এমএনপি (এক অপারেটরে অন্য অপারেটরের সেবা) লকিং পিরিয়ড ৯০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন হবে, যা ১ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে।

রবিবার (২১ জুন) খুচরা মোবাইল সেবা সংশ্লিষ্ট বাজারে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা সম্পন্ন মোবাইল অপারেটরসূহের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গ্রামীণফোনসহ সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে এমএনপি (এক অপারেটরে অন্য অপারেটরের সেবা) লকিং পিরিয়ড ৯০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন হবে, যা ১ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে।

চিঠিতে বলা হয়, এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোন বিটিআরসির অনুমোদন ব্যতীত কোনো প্রকার সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার প্রদান করতে পারবে না। এমনকি সার্ভিস/প্যাকেজ/অফারের পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমোদন নিতে হবে। গ্রামীণফোনের বর্তমানে প্রচলিত সকল প্রকার সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার চালু রাখার ক্ষেত্রে পুনরায় কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। নতুন সার্ভিস/প্যাকেজ/অফারের ক্ষেত্রে বিষয়টি আগামী ১ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে। পুরাতন বা চলমান সকল সার্ভিস/প্যাকেজ/অফারসমূহ ৩১ আগস্টের মধ্যে কমিশন কর্তৃক পুনরায় অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পারিচালনাকারী হিসেবে গ্রামীণফোনের ভয়েস ট্যারিফ সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা আপাতত দেয়া হলো না। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট চলমান সংকট পরিস্থিতে কমিশন এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে কমিশন হতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বিটিআরসি চিঠিতে জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে বাড়তি কলরেট (মিনিটে সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা) আপাতত নির্ধারণ করে দেওয়া হলো না। এটা পরে বিবেচনা করা হবে।

অন্যদিকে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে কল আদান-প্রদান বা টার্মিনেশন থেকে আয় কমিয়ে দেওয়ার (মিনিটে ১০ পয়সার বদলে ৫ পয়সা) বিধিনিষেধটি আরও যাচাই করে কমিশন পরে জারি করবে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

কোনো মোবাইল অপারেটর গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ- এ তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা যায়। গ্রামীণফোন গ্রাহকসংখ্যা ও অর্জিত বার্ষিক রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাধারী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত