বাজেট পেশ

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২০, ১৬:৫১

সাহস ডেস্ক

জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ সম্পন্ন হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বাজেট উপস্থাপন করেন। মহামারি করোনাভাইরাস সংকটময় পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

এরপরই স্পিকার ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আহ্বান জানান। এবার নিয়ে মুস্তফা কামাল দ্বিতীয়বারের মতো বাজেট পেশ করলেন। প্রথমবার বাজেট পেশ করার সময় তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। বাজেট পেশ করার এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ বোধ করলে বেরিয়ে যান। বাজেট বক্তৃতার বাকি অংশ পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বাজেট পেশের আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তা পেশের অনুমতি দেন।

এবার অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত করার অনুমতি চান এবং কিছু অংশ পঠিত বলে গণ্য করার অনুরোধ জানান। স্পিকার তাতে অনুমতি দেন। অর্থমন্ত্রী তাঁর সংক্ষপ্তি বাজেট বক্তৃতার কিছু অংশ ডিজিটাল পদ্ধতি উপস্থাপন করেন। এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের স্লোগান হচ্ছে 'অর্থনৈতিক উত্তোরণ ও ভবিষ্যত পথপরিক্রমা'।

এর আগে ৪৯তম বাজেট মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই বিশেষ বৈঠক হয় জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে। করোনাভাইরাসের কারণে এই বৈঠক হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়। মন্ত্রিসভার মাত্র ১১ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিব।

বাজেট অধিবেশনে সব সাংসদেরাই অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার অল্প সংখ্যক মন্ত্রী–সাংসদ অংশ নিয়েছেন। আগেই ৮০–৯০ জন সাংসদের বেশি উপস্থিতি না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশপাশে কয়েকটি আসন ফাঁকা করা হয়েছে। অন্য মন্ত্রী–সাংসদেরাও পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখে বসেছেন।

স্বাভাবিক সময় বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ গণ্যমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার কাউকে দাওয়াতও দেওয়া হয়নি। দর্শক গ্যালারীও একেবারে ফাঁকা।

যে সব মন্ত্রী–সাংসদ অংশ নিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা–কর্মচারীদেরও সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবার বাজেট সংক্রান্ত দলিলাদি সংসদের ভেতর থেকে গণমাধ্যমে বিতরণ করা হতো। এবার ভবনের বাইরে মিডিয়া সেন্টার থেকে বিতরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত