প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় থাকবেন দেশের সবাই: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৩৫

সাহস ডেস্ক

দেশের সবাই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় থাকবেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেশের সবাই থাকবেন, কেউ বাদ যাবেন না। তার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। চলতি অর্থবছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারও ৮ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।

রবিবার (৫ এপ্রিল) করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কলকারখানা, সেবা খাত সব এ প্যাকেজের আওতায় থাকবে। আর মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় অর্থনৈতিক উন্নতিও অব্যাহত থাকবে। যদি পরিস্থিতি প্রলম্বিত না হয়, জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারও ৮ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। দেশের এই অবস্থায় সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিতে যেতে পারবেন না এবং সবকিছুকে অনেক নমনীয়ভাবে দেখতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সর্বশেষ আট মাসের যে অর্জন তার ভিত্তিতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বলেছে, আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা জিডিপি গ্রোথ রেট এবছর হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আমি মনে করি, যদি সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলে তাহলে এ বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ইনশাল্লাহ ৮ শতাংশের কাছাকাছি  হবে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত হয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। করোনার প্রভাবের হিসাব ছাড়া গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থবছরের ৮ মাসের চিত্র আমলে নিয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। সংস্থাটি এও বলেছে, করোনার প্রভাব দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারলেই তা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে অর্থমন্ত্রী এ কথাগুলো উল্লেখ করেন।

মোস্তফা কামাল বলেন, খারাপ পরিস্থিতি সেটা এক সময় কেটে যাবে এবং সেটা কেটে গেলে আমরা যাতে দ্রুত আবার আগের অবস্থানে চলে আসতে পারি এবং প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি- এজন্য আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আর আমাদের যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশের ঘরে আছে, আমার আশা এই সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।

২০০৮-০৯ সালের বিশ্বমন্দার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার আগেভাগেই দ্রুত প্রণোদনা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘খারাপ পরিস্থিতি একসময় কেটে যাবে। তখন আমরা যাতে দ্রুত আগের অবস্থানে চলে আসতে পারি এবং প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি, এ জন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‌প্রবৃদ্ধির হার, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) এমনকি রাজস্ব আহরণের হারও আমাদের ভালো ছিল। কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম শুধু রপ্তানিতে। তবে রেমিট্যান্সে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টিকে তা পুষিয়ে দেবে।

অর্থনীতিতে যেসব জায়গায় বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল, ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ফলে সে জায়গাগুলো এখন পূরণ হয়ে যাবে বলেও আত্মবিশ্বাস রাখেন মুস্তফা কামাল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত