চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৫২

সাহস ডেস্ক

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পসহ চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চারটি প্রকল্পের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রত্যক্ষকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই এগুলোর (প্রকল্প) দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। এগুলোর (প্রকল্পগুলোর আওতায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভসমূহ) যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্য তিনটি প্রকল্প হলো- অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্প, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প এবং ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরমা বাংলাদেশ প্রকল্প।

স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) আওতায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চ ভাষণ স্মৃতিস্তম্ভ এবং ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৮ ফুট দীর্ঘ একটি ভাস্কর্য এবং আরেকটি পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণ দৃশ্যের ভাস্কর্য দুটি স্মৃতিস্তম্ভে নির্মাণ করা হবে।

২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবং ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের অধীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার এক তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই ভবনগুলো অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে প্রদান করবেন। ‘বীর নিবাস’ শিরোনামে ৪ ডেসিমাল জমির ওপর ৯শ’ স্কয়ার ফুট আয়তনের এসব এক একটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৫৩ কোটি টাকা।

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মেহেরপুর জেলার ঐতিহাসিক মুজিবনগরে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

বর্তমানে বিদ্যমান স্মৃতিস্তম্ভটি ৮১.৭৬ একর জমির ওপর অবস্থিত। কিন্তু নতুন নকশা করা স্মৃতিকেন্দ্রের জন্য সেখানে আরও ৪৯.২৭ একর জমির প্রয়োজন পড়বে।

মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্য জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের প্যানোরমা তৈরির একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, তবে প্রকল্পের স্থানটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বলানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং স্থাপত্য বিভাগের প্রধান স্থপতি এএসএম আমিনুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত