দ্রুত পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য সচিব

বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত আড়াই হাজার অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাণিজ্য সচিব।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন জেলার পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) কার্যক্রম ঢাকাসহ সারা দেশে জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন তাদের তদারকি অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আমদানি করা পেঁয়াজের সিংহভাগ আসে ভারত থেকে। এ বছর বন্যার কারণে ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়। এ জন্য সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস ভারত থেকে প্রায় তিনগুণ বেড়ে যায়। এরপর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারত পেঁয়াজ রফতানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।’

তিনি বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথম থেকেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- এলসি মারজিন ও সুদের হার কমানো। আমদানিকারকদের ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশ হতে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। আমদানি করা পণ্য নিবিঘ্নে খালাসের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সবাইকে প্রস্তুত রাখা।’

তিনি বলেন, ‘এলসির মাধ্যমে সমুদ্রপথে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেড় মাসের মতো সময় লেগে যাচ্ছে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজের চালান বাংলাদেশের উদ্দেশে সমুদ্রপথে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার পেঁয়াজের রফতানি মূল্য চারগুণ বাড়িয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে দুই-একদিন ধরে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

বাণিজ্য সচিব আরো বলেন, ‘তড়িৎ গতিতে কার্গো বিমানে মিসর, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এস আলম গ্রুপের কার্গো বিমানের প্রথম চালান মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে।’