অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমান কর রেয়াত সুবিধা চায় ইপিজেডের বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:০৪

বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং রফতানি বৃদ্ধির লক্ষে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের সমান কর রেয়াত এবং অ-আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা চাই রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ।

এ লক্ষে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) গত ৪ সেপ্টেম্বর কর রেয়াত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে।

এতে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রদেয় সুবিধাদির বৈপরীত্য ও বৈষম্যর ফলে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রতিযোগিতার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের ন্যায় আর্থিক প্রণোদনাসমূহ ইপিজেডের বিনিয়োগকারীদের প্রদান করা হলে মোংলা, উত্তরা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডসহ অন্যান্য ইপিজেডে বিনিয়োগ, রফতানি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত স্থাপিত ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ বছর কর রেয়াত সুবিধা এবং ১ জানুয়ারি ২০১২ সাল কিংবা এর পরবর্তীতে ঢাকা ,চট্টগ্রাম, কর্ণফুলী, কুমিল্লা এবং আদমজী ইপিজেডে স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় বছর ১০০ শতাংশ, পরবর্তী দুই বছর (তৃতীয় ও চতুর্থ) ৫০ শতাংশ, পঞ্চম বছরে ২৫ শতাংশ হারে কর রেয়াত সুবিধা এবং ইশ্বরদী, উত্তরা ও মোংলা ইপিজেডে স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথম তিন বছর (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়) ১০০ শতাংশ, পরবর্তী তিন বছর (চতুর্থ, পঞ্চম ও যষ্ঠ) ৫০ শতাংশ এবং পরবর্তী ১ বছর ২৫ শতাংশ হারে কর রেয়াত প্রদান করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বেজার অধীনে স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ বছর কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হচ্ছে। প্রথম তিন বছর ১০০ শতাংশ, চতুর্থ বছর ৮০ শতাংশ, ৫ম বছর ৭০ শতাংশ, যষ্ঠ বছর ৬০ শতাংশ, সপ্তম বছর ৫০ শতাংশ, ৮ম বছর ৪০ শতাংশ, ৯ম বছর ৩০ শতাংশ এবং দশম বছর ২০ শতাংশ।

এছাড়া বিদেশী কর্মীদের জন্য কর মওকুফ সুবিধা বেজার অধীন স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠান পেয়ে থাকলেও ইপিজেডের বিনিয়োগকারিরা এ সুবিধা পাচ্ছেন না। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানসমূহ ২/৩ টি গাড়ি শুল্কমূক্ত সুবিধায় আনার সুযোগ পাচ্ছে, যা ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নেই।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমরা বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও রফতানি বৃদ্ধি হোক যেমন চাই, পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়ানোর প্রয়োজন। তাই সব কিছু পর্যালোচনা করে ইপিজেডের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর রেয়াত সুবিধা সম্প্রসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে, বেপজা তার চিঠিতে উল্লেখ করেছে ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর রেয়াত বৃদ্ধি করা হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত