তুলা আমদনিতে ফিউমিগেসনের ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৩৬

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘তুলা আমদানির অনুমোদন আমরা দেই। তবে তুলা আমদনির পর এর সঙ্গে কোনো রোগ-জীবাণু আছে কিনা সেটার জন্য পোর্টে ফিউমিগেসন করতে হয়। এজন্য একটা ফি দেওয়া লাগে। সেই চার্জ ক্ষেত্র বিশেষে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশের স্বার্থে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসব ফি কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিসকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএম) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে এসবক্ষেত্রে যে পরিমাণ চার্জ ছিল সেটা সম্প্রতি ক্ষেত্র বিশেষে ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। টাকার অংকে বেশি নয় হয়তো ৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকসহ যেসব সংস্থা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের সূচক নির্ধারণ করে তারা এটাকে খুব নেগেটিভভাবে দেখছে।’

তিনি বলেন, ‘ফিউমিগেসনে ফি প্রতি বেলে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে তুলা আমদানি করার সময় সেখানেই একবার ফিউমিগেসন করা হয়। আবার দেশে এনে ফিউমিগেসন করলে খরচ বাড়ে। ফলে আমেরিকা সরকারও এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাট রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতাম। এখন সেটা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ অর্জন হয় তৈরি পোশাক থেকে।’

তিনি বলেন, পোশাকশিল্পের মূল কাঁচামাল হচ্ছে কাপড়। এ কাপড় আগে আমরা আমদানি করতাম। কিন্তু বর্তমানে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি বাড়ায় কাপড় পুরোটাই দেশে উৎপাদন হচ্ছে।’

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের দেশে কাপড় তৈরির জন্য কাঁচামাল তুলা চাষ করি না। তাই তুলা আমদানি করতে হয়। তুলা আমদানি করার সময় তুলার সঙ্গে পোকামাকড় বা রোগ-জীবাণু আসছে কিনা সেটা দেখতে হয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত