১৮০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৪৬

বন্ডেড সুবিধার আওতায় আমদানি করা পণ্যে ১৮০ কোটি টাকার শুল্ক-কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই এই ৬ মাসে ১৪২টি প্রিভেন্টিভ অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে শুল্ক-কর ফাঁকির এই তথ্য পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বাসসকে বলেন, শিল্পায়নের বিকাশ ও রফতানি সম্প্রসারণের লক্ষে সরকার রফতানিমূখী শিল্পের জন্য বন্ড সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান এর অপব্যবহার করছে। তাই আমরা বন্ডেড সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছি। শুল্ক-কর ফাঁকির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ আকস্মিক পরিদর্শন, রাত্রিকালীন টহল,অবৈধ বিক্রয়স্থলে হানা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বন্ড কমিশনারেট পরিচালিত অভিযানে কেবল শুল্ক-কর ফাঁকি উদঘাটন হয়নি, পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্য চোরাইপথে খোলাবাজারে বিক্রয়ের অভিযোগে ৬৪টি পণ্যবাহী যানবাহন আটক ও ৫টি গুদাম সীলগালা করা হয়েছে। আটক হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফেব্রিক্স,কাগজ,বিওপিপি ফিল্ম, পিপি দানা, ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্টকার্ড, সুতা ইত্যাদি।

এছাড়া বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় মোট ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত এবং এসব প্রতিষ্ঠানের পিন নম্বর লক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স চূড়ান্ত বাতিল করা হয়েছে।