সাংবাদিকতা পেশায় জীবন বীমা অত্যন্ত যুগোপযোগী উদ্যোগ

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০১৯, ২০:৫৯

সাংবাদিক ও পুলিশের কাজের ধরণ এক। এই দুই পেশার লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকে। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে তাদের কেউ মারা গেলে পরিবারের জন্য তেমন কোন সহায়তা পায় না বিধায় সাংবাদিকতা পেশায় জীবন বীমা অত্যন্ত যুগোপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।

আজ ৩০ জুলাই, ২০১৯ বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন(ক্র্যাব) ও সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সাথে গ্রুপ জীবন বীমা চুক্তি স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত এই ঐতিহাসিক শুভ কাজের সাক্ষী হতে পেরে। শুরুতেই ধন্যবাদ জানাই সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীকে সুবিধা বঞ্চিত সাংবাদিক ভাইদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য। ক্র্যাবকে ধন্যবাদ চমৎকার এই গ্রুপ বীমার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোন কর্মঘন্টা নেই। চকবাজারে আগুন, এফআর টাওয়ারে আগুন, কোটা আন্দোলনসহ অন্য যেকোন আন্দোলনে পুলিশ, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের লোকদের পাওয়া যায়। এমন কাজ করতে গিয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় আমাদের অনেক সদস্য মারাও যায়। কিছুদিন আগে যাত্রাবাড়ীতে আমাদের এক ট্রাফিক সদস্য কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যায়।’

কমিশনার বলেন, ‘হলি আর্টিসানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় আমাদের দুই পুলিশ কর্মকর্তা জীবন দিয়েছেন। কিশোরগঞ্জের শোলকিয়ায় আমাদের আনসার উল্লাহ ও জহিরুল তাদের জীবন দিয়ে জনগনের নিরাপত্তা দিয়েছেন। দুইটি পেশাতেই ঝুঁকি বেশি এবং পাশাপাশি থেকে কাজ করতে হয়। সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক সবসময় আমাদের ভাল। এই বীমা  চুক্তি নেয়ার উদ্যোগ অনেক ভাল হয়েছে। আরও আগে এটা করা উচিত ছিল। দেশকে যারা ভালবাসে, সমাজে যারা পরিবর্তনেরর জন্য কাজ করে, তারাই সাংবাদিকতা করতে পারে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কর্মকান্ডে সাংবাদিকরা অনেক সহায়তা করে। সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছে বলেই সবাই এখন হেলমেট পরে ও উল্টোপথে গাড়ি চলে না।’

সান লাইফ ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদত হোসেন সোহাগ বলেন, ‘আজ থেকে ২৭২ জন সদস্যকে নিয়ে এই গ্রুপ বীমা কার্যকর হলো। এই চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রোগের চিকিৎসার জন্য এই তহবিল হতে সাহায্য করা হবে। যদি কেউ দুর্ঘটনায় মারা যায় সেক্ষেত্রে তার পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়াও যদি স্বাভাবিকভাবে কেউ মারা যায় সেক্ষেত্রে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, ‘পুলিশ আর সাংবাদিকের মাঝে কোন পার্থক্য নাই। আমরা যখন সাংবাদিকতায় আসি তখনি জানি যে কি কি করা যায় আর কি কি করা যায় না। আজকের এই গ্রুপ বীমা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো ক্র্যাবের সদস্যদের কল্যাণের জন্য।’

সান লাইফ ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদত হোসেন সোহাগ ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সভাপতি আবুল খায়ের গ্রুপ বীমা চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

সাহস২৪.কম/জুবায়ের/শামীম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত