জাল নোট ও আসল নোট চেনার উপায়

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০১৯, ১৬:১৩

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেড়েছে নগদ টাকার লেনদেন। ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে সব জায়গায় নগদ টাকার লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় অনেক সময় আমাদের অনেকের পকেটে জাল টাকা চলে আসে। 

টাকা লেনদেন করতে গিয়ে মূলত কিছু অসাধু ব্যক্তির জাল নোট তৈরি ও বাজারজাত করার কারণে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদের মত উৎসবকে ঘিরে এসব প্রতারক চক্র আরও সক্রিয় হয়ে উঠে। সেক্ষেত্রে জাল টাকার লেনদেন করলে অনেক সময় আইনি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আসল ও নকল নোট চেনার সহজ উপায় জানা থাকলে প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। 


নোটটি আসল কি নকল তা জানার সহজ কিছু কৌশল

১। নিরপাত্তা সুতা: ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটেই মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটের মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে মুদ্রিত আছে। নোট চিত করে ধরলে নিরাপত্তা সুতায় মূল্যমান লোগো দেখা যাবে। এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত বা নোটের কাগজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে উক্ত নিরাপত্তা সুতা কোনক্রমেই উঠানো সম্ভব নয়। জালনোটে নিরাপত্তা সুতা সহজেই নখের আঁচড়ে বা মুচড়ানোতে উঠে যাবে।

২। রঙ পরিবর্তনশীল কালি: ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের উপরের ডানদিকের কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রঙ পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত রয়েছে। ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট আস্তে আস্তে নড়াচড়া করলে নোটের মূল্যমান লেখাটি সোনালী হতে ক্রমেই সবুজ রঙ এ পরিবর্তিত হয়। একইভাবে ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোটে ৫০০ মূল্যমান লেখাটি লালচে হতে পরিবর্তিত হয়ে সবুজ হয়। জালনোটে ব্যবহৃত এ রঙ চকচক করলেও তা পরিবর্তিত হয়না।

৩। অসমতল ছাপা: ১০০, ৫০০, ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের সম্মুখ ও পশ্চাৎ পৃষ্ঠের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান এবং ৭টি সমান্তরাল সরলরেখা উঁচু-নিচু (খসখসে) ভাবে মুদ্রিত আছে। তাছাড়া, নোটের ডানদিকে ১০০ টাকার নোটে ৩টি, ৫০০ টাকার নোটে ৪টি এবং ১০০০ টাকার নোটে ৫টি ছোট বৃত্তাকার ছাপ আছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু (খসখসে) অনুভূত হয়। এ সকল বৈশিষ্ঠ্য জালনোটে সংযোজন করা সম্ভব নয়।

৪। জলছাপ: ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং নোটের মূল্যমান প্রতিকৃতির তুলনায় উজ্জ্বল দেখাবে।

এছাড়াও স্বল্পমূল্যেও বিভিন্ন ব্রান্ডের জালনোট সনাক্তকারী মেশিন (UV) এবং আতশি কাঁচ দ্বারা জাল নোট সহজে পরীক্ষা করা যায়।

নোট জালকারীচক্রের প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন এবং এসকল নোট জালকারীকে ধরিয়ে দিন। আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিজে জানুন এবং অপরকে জানতে সহায়তা করুন। ব্যাংক নোটের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হোন।

সাহস২৪.কম/জুবায়ের/জয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত