বাণিজ্য ঘাটতি ১১৯২ কোটি ডলার

প্রকাশ : ১১ মে ২০১৯, ১২:৪৮

সাহস ডেস্ক

দেশের রপ্তানি আয় বাড়লেও বাণিজ্য ঘাটতি কমছে না। ৯ মাসে হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ  সময়ে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি ৭০  লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৪৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন ভারসাম্যের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে এ চিত্র উঠে এসেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রপ্তানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ। শুধু একক মাস হিসেবে সর্বশেষ এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু তারপরও পণ্য বাণিজ্যে বাংলাদেশের সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯২ কোটি ৮০ লাখ (১১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩১৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ১ হাজার ৮২৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে অর্থবছর শেষ হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ৯ মাসের হিসাবে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি গত অর্থবছরের চেয়ে কম থাকলেও সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি বেড়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে  ২৬৮  কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ২৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার ছিল।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বর্তমানে বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ এসব প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন উপকরণ আমদানি করতে হচ্ছে। এ কারণে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এতে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। তবে সামনে যদি এ ধরনের বড় আমদানি না হয়, তাহলে আমদানি প্রবৃদ্ধি কমবে। তাতে ঘাটতি কমে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত