সিলগালা করে দেয়া হলো বিজিএমইএ ভবন

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১৯

সাহস ডেস্ক

অবশেষে সিলগালা করে দেওয়া হলো রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে এটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এর আগে রাজউক পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান বলেন, বিকেল ৫টার পর বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দেবে রাজউক। কিন্তু ভবনের ভেতরের অফিসগুলোর মালামাল সে সময়ের মধ্যে সরাতে না পারায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

প্রত্যেক ফ্লোরে ফ্লোরে এবং ভবনের মূল ফটকে তালা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস। তালা দেওয়ার পর চাবি হস্তান্তর করা হয় পুলিশের কাছে।

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, আমরা ইতোপূর্বে চাইনিজ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সহযোগিতায় কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং (নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভবনটি ভাঙা হবে। এর আগে র‌্যাংগস ভবন অপসারণ করতে বেশকিছু ক্যাজুয়ালিটি হয়েছিল। আমরা চাই এ ভবনটি সঠিকভাবে অপসারণ করতে। তাই চাইনিজ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং পদ্ধতিতে এটি অপসারণ করা হবে। অপসারণের অংশ হিসেবে আমরা এ ভবনটির ইউটিলিটি সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করব।

বিকেলে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, আইনের ভিত্তিতে বিজিএমইএ ভবন অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা যে ভবন অপসারণ শুরু করেছি এটাও ভবন ভাঙার অংশ। তাছাড়া এখানে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্টের বিষয় আছে, এগুলো শেষ হলেই আমরা ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো। এই বড় ভবনের নানা বিষয় দেখতে হচ্ছে, এখানে অনেকগুলো ব্যাংক আছে সেটাও দেখতে হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে পারবো এ কাজে মূল সহযোগী হবে চায়না এক্সপার্টরা। এখন ভবনে অফিস অপসারণের কাজ চলছে।

প্রধান প্রকৌশলী বলেন, কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং একটি প্রক্রিয়ার বিষয়। এটি একটি বিশাল ভবন। এখানকার গ্লাসগুলো আগে খুলে ফেলতে হবে। এছাড়া আরও অনেক বিষয় আছে, যা সম্পন্ন করার পরই অপসারণ করা হবে ভবনটি। আমরা আজ থেকে ভবন অপসারণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি, যা শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত