রিজার্ভ চুরি

চলতি মাসেই নিউইয়র্কের আদালতে মামলা: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫২

সাহস ডেস্ক

চুরি হওয়া রিজার্ভের টাকা উদ্ধারে চলতি মাসেই নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমরা মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এ মাসের ভেতরেই মামলা হবে। এই মামলা দেখভালের জন্য বাংলাদেশের একজন আইনজীবী রয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে আমেরিকায়ও একজন আইনজীবী আছেন। তারা যৌথভাবে সময় নির্ধারণ করে এ মামলা দায়ের করবেন। তবে কার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এখনও সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

রবিবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে করণীয় বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকর গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে নিইউ ইয়র্কে। তাই মামলা সেখানেই হবে। আমাদের আইনজীবীরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। তবে কার বিরুদ্ধে কে মামলা করবে তার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এছাড়া কয়জনকে আসামি, কয়জনকে বাদী ও কয়জনকে সাক্ষী করা হবে তা দুই আইনজীবী বসে ঠিক করবেন পরবর্তী ধাপে।

ফরাস উদ্দিনের তদন্ত রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে কিনা এমন এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের প্রয়োজন হলে করবো, না হলে করবো না। এছাড়া তদন্তে নেগেটিভ বা পজেটিভ কি আছে আমি কিছু জানি না। ঢাকায় বসে কে কি কমিটি করলো, কে কি রিপোর্ট দিলো, তা নিয়ে আলোচনার জন্য এখন সঠিক সময় না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, আমেরিকার আইনজীবীরা যে আমাদের পক্ষে লড়বে তাদের কমিশন অনেক বেশি। প্রতিটি আইনজীবীর একটি নির্দিষ্ট কমিশন থাকে। তবে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন রিপোর্ট দিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি প্রকাশ করা হয়নি-আপনি তা প্রকাশ করবেন কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকাশ করার প্রয়োজন হলে প্রকাশ করব আর প্রয়োজন না হলে করব না।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। সুইফটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হ্যাক্টড করে পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলংকায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনও ফেরত আসেনি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এ অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে জমা রয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (ফেড) এবং ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত