‘ভারত থেকে ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে’

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৪

সাহস ডেস্ক

ভারত থেকে আরো ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। সূর্যমনি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে জি টু জি’র আওতায় এই বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির পঞ্চাদশ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে সূর্যমনি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে ১৬০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ।

আগের দিন সোমবারের (২৪ সেপ্টেম্বর) সভায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ। সভায় ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।

সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী বলেন, সভায় ভেড়ামারা ও ত্রিপুরা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অগ্রগতি, এইচভিডিসি দ্বিতীয় ব্লক নির্মাণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, সূর্যমনি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে জি টু জি-এর আওতায় এনটিপিসির বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আরো ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বড়পুকুরিয়া-বরানগর ৭৬৫ কেভি গ্রিড ইন্টারকানেকশন, বহরমপুর-ভেড়ামারা ৪০০ কেভি দ্বিতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ও সূর্যমনি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে আরো বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে কুমিল্লায় ব্যাক টু ব্যাক এইচভিডিসি সাব স্টেশন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া ছাড়াও রাজনৈতিক কারণে বা ভারতীয় আইন পরিবর্তনজনিত আর্থিক সংশ্লেষের উদ্ভব হলে তা থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে ভারত বিদ্যুৎ রফতানির বিষয়েও আলোচনা হয়।

স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ভারতীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে অংশগ্রহণ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে অংশগ্রহণের বিষয় আলোচনা ছাড়াও জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জল বিদ্যুৎ ভারতের এনভিভিএন এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানি, ভুটানের হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগ ও এই প্রজেক্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগগিতার বিষয় সমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।

এছাড়াও সভায় রামপালে বাস্তবায়নহীন মৈত্রি সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি বিষয়েও আলোচনা হয়। সভায় রামপালে বাস্তবায়নহীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রি সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ ও বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৫তম সভা সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৪তম সভা এ বছর জানুয়ারি মাসে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত