হাসুমণি’র পাঠশালার উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন কর্মশালা ও প্রদর্শনী সম্পন্ন

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:১০

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চত্ত্বরে চিত্রাঙ্কন কর্মশালা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় হাসুমণি’র পাঠাশালা উদ্যোগে প্রথমবারের মতো চিত্রাঙ্কন কর্মশালা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় । 

সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে ছোট্ট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে সেই হাসুমণি’র জন্মদিন উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক গওহর রিজভী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি, দেশবরেণ্য শিল্পী মণিরুজ্জামান মণিরসহ বিশিষ্টজনেরা।

অনুষ্ঠানের সভপতিত্ব করেন হাসুমণি’র পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি।

এসময় গওহর রিজভী বলেন, আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীন বাংলাদেশকে পাওয়ার জন্য আমাদের ত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুকে আমাদের সন্তানদের মনে রাখতে হবে। আমরা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশটা পেয়েছি। আমরা ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলাম। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সোনার বাংলাদেশ গড়ার চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী। এর আবার ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তারপর কেয়ারটেকার সরকার ক্ষমতায়। তখন শেখ হাসিনাকে জেলে যেতে হয়েছিল। তিনি যখন জেলে গিয়েছিলেন তখন আমাকে বলতেন আমার কাছে ক্ষমতা বড় না। মানুষের জন্য দেশের জন্য কতটুকু দিতে পারবো সেটাই মূল বিষয়।

 

ছবি আঁকার আর্টক্যাম্পে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে এই প্রথম এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন হল। আমার সামনে থাকা শিশু-কিশোর'দের মাঝে জয় বাংলা স্লোগানে সঞ্চারিত হবে চেতনাবোধ। এদের মাঝেই আমি আগামীর বাংলাদেশ দেখি।

এই উৎসবে ৭১ টি প্রতিকৃতি প্রদর্শনী এবং ৭১ ক্যানভাসে ক্ষুদেশিল্পীরা আঁকছে স্বপ্নের সোনার বাংলা ‘হাসুমণির বাংলাদেশ। এতে ঢাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৪র্থ থেকে দশম শ্রেণির শিশুকিশোরা ছবি আকতে অংশ নিয়েছে। শিশুদের আঁকা ছবিগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পক্ষ থেকে।

নাসিমা বেগম বলেন, শিশু-কিশোরদের জন্য সরকার প্রতিটি স্তরে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে। কিশোর-কিশোরীদের জন্য চালু করা হয়েছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব, যা প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে। আজকের শিশুই আমাদের আগামী। তারাই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বে।

এসময় হাসুমণি’র পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি বলেন, ‘হাসুমণি’ শব্দটা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রতীকী শব্দ। বঙ্গবন্ধু তার বড় মেয়ে শেখ হাসিনাকে আদর করে ‘হাসুমণি’ বলে ডাকতেন। যেমনটি বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি বাবা-মা তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানকে আদর করে সোনামণি বা যাদুমণি বলে ডাকেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত