নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত

প্রকাশ : ০৪ মে ২০১৮, ১৪:৫২

সাহস ডেস্ক

যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির মধ্যে ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করেছে সুইডিশ একাডেমি, যারা প্রতিবছর সম্মানজনক এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। আজ শুক্রবার (৪ মে) সকালে সুইডিশ একাডেমির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে সুইডিশ একাডেমি জানিয়েছে, ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কারটি ‘রিজার্ভড প্রাইজ’ হিসেবে ২০১৯ সালের পুরস্কারের সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

একাডেমির এই সংকটের শিরোমণি ফরাসি আলোকচিত্রী জাঁ ক্লোদ অ্যারানাল্ট। সুইডিশ একাডেমি থেকে পদত্যাগ করা ছয় সদস্যের একজন কবি ক্যাটরিনা ফ্রসটেনসনের স্বামী তিনি। তার বিরুদ্ধে একাডেমির কর্মকর্তা, সদস্যদের আত্মীয়সহ একাধিক জনকে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির অভিযোগ ওঠে। অ্যারানাল্টের বিরুদ্ধে এই যৌন নিপীড়নের খবর প্রথম প্রকাশ করে সুইডেনের একটি সংবাদপত্র।

সুইডিশ একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বছর ২০১৮ ও ২০১৯ সালের দুটি পুরস্কার একবারে দেওয়া হবে। ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার চালুর পর থেকে এ পুরস্কার ঘিরে এটাই সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি।

সুইডিশ একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জনমনে আস্থার ঘাটতি থেকেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সুইডেনে সংস্কৃতিবিষয়ক সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ‘সুইডিশ একাডেমি’। কয়েক সপ্তাহ আগে একাডেমির ছয় সদস্য পদত্যাগ করেন। তাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সারা দানিউসও আছেন। হঠাৎ করে ছয় সদস্যের পদত্যাগে ২৩০ বছরের পুরনো এ একাডেমি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। একাডেমির প্রত্যেক সদস্যই গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। পরে তাঁদের মনোনয়ন দেন সুইডেনের রাজা। আর একবার নির্বাচিত ব্যক্তি আজীবনের জন্য সদস্য হন।

বর্তমানে একাডেমির সক্রিয় সদস্য রয়েছেন মাত্র ১০ জন। এ বছর নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের পরিণতি কী হবে, সে বিষয়ে এই ১০ জন গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসার কথা ছিল। যদিও প্রথা অনুযায়ী, কোরামের জন্য ন্যূনতম ১২ জন সদস্য উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এর আগে ১৯৪৩ সালে সর্বশেষ নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত হয়েছিল। সেবার স্থগিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে; কিন্তু এবার স্থগিত হতে পারে জ্যঁ ক্লদ আহনুর কারণে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত