একটা স্কুলের গল্প-০৩

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:২৯

নিরব প্রাঞ্জল

হই হুল্লোর করে বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো। কাঠ বোঝাই করা গাড়ি চলে এসেছে। বাচ্চাদের মাঝে এ যেন এক চঞ্চলতা কাজ করছে। কিছুদিন আগে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া তাদের স্বপ্নের বিদ্যাপীঠটি আবারো নতুন করে দাঁড়াবে।

আমাদের কাঠের গাড়িটি সকালেই আসার কথা ছিলো কিন্তু জানেন তো, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং (আকবাড়ি পাড়া) ওয়ার্ডটিকে সচরাচর সেখানকার মানুষ জঙ্গল বলেই চিনে।

প্রত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় আমাদের কাঠের গাড়িটি নির্ধারিত সময়ে আসতে পারেনি তাছাড়া যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায়, কাঠগুলো পাড়া থেকে প্রায় বেশ দূরেই নামাতে হয়েছিল।

কাঠগুলো স্কুল পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য সেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পাড়ায় বসবাসরত পাড়াবাসী ও বাচ্চারা স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ছিল। স্কুল তৈরীর এই কাজে পাড়াবাসীদের সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রচুর অবদান রেখে যাচ্ছেন।

আমরা তাদের আগ্রহ, আতিথিয়তা আর আন্তরিকতায় অনেক মুগ্ধ। বাচ্চারা নিজ নিজ ক্ষমতা অনুযায়ী কাঁধে কাঠের গোছা নিয়ে যাচ্ছে স্কুলের দিকে।

কষ্টটা উপেক্ষা করে স্বপ্নটাকে মনে সঞ্চিত করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে সবাই। আপাতত স্বপ্ন একটাই - নতুন স্কুল হবে, আবারো নতুন স্কুল ড্রেসে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে তারা ক্লাসে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত