সতর্কতা জারি

ভারতে চোখ রাঙাচ্ছে লেপটোস্পাইরোসিস

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৯

সাহস ডেস্ক

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৮ হাজার ২১ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ২৪৭ জনের। এরই মধ্যে হানা দিয়েছে লেপটোস্পাইরোসিস। এটি ভারতের জন্য নতুন ভীতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

লেপটোস্পাইরোসিস মূলত কুকুর ও ইঁদুরের প্রস্রাব থেকে ছড়ায়।  বিশেষ করে বর্ষায় ও বর্ষা পরবর্তী স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় এই রোগ বেশি ছড়ায়। শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের পর উপসর্গ দেখা দিতে ৫ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে।

ডাইরেক্টর অব হেলথ সার্ভিস এবং ডাইরেক্টর অব মেডিকেল এডুকেশন যৌথ নির্দেশনায় বলছে,  কুকুর-ইঁদুর কিংবা গবাদি পশুর শরীরে এক ধরনের স্পাইরাল ব্যাকটেরিয়ার দেখা মেলে। তার নাম লেপটোস্পাইরা। এর থেকেই ছড়ায় অসুখ। আক্রান্ত পশুর প্রস্রাবে থিকথিক করে সেই ব্যাকটেরিয়া। যা শরীরে লাগলেই বিপদ। পশুর প্রস্রাব ত্বকের সংস্পর্শে এলেই অসুখ ছড়ায়। ইঁদুর প্রস্রাব করে যেখানে সেখানে।

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, লেপটোস্পাইরোসিস একজন মানুষকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। এই রোগের উপসর্গ হলো- চোখ লাল হওয়া, ঘাড় ‘স্টিফ’বা শক্ত হয়ে যাওয়া, কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ জন্ডিস ও তলপেটে ব্যথা। এসব উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়ছে। যারা নালা পরিষ্কার করেন তাদেরই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই যাদের নোংরায় কাজ করতে হয় এমন পেশার লোকদের গ্লাভস এবং পায়ে জুতো পরে কাজ করতে বলা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা নির্দেশনা এরই মধ্যে প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রতিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পৌঁছে গেছে। এ রাজ্যে এই মুহূর্তে অসুখ মাথাচাড়া না দিলেও লেপটোস্পাইরোসিসের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে যত্রতত্র। তাই সময় থাকতেই সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই অসুখে মৃত্যুহার যথেষ্ট। অসুখ হওয়ার আগেই তাই সর্তকতা নিতে চায় কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা বলছে, রুটিন ইউরিন পরীক্ষা, রক্তের টিএলসি, ডিএলসি, ইএসআর, প্লেটলেট কাউন্ট করলেই ধরা পরে অসুখ। এ অসুখে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যকৃৎ। লিভার ফাংশন টেস্ট করালেও বোঝা যাবে শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করেছে কি-না।

কীভাবে চিকিৎসা হবে; সেটিও প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উপসর্গ কম থাকলে ডক্সিসাইক্লিন দিতে হবে। প্রসূতিদের ক্ষেত্রে প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর অ্যামক্সিসিলিন দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। আট বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুর ওজন বুঝে অ্যামক্সিসিলিন সিরাপ দিতে বলা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত