পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০১৯, ১৪:০৮

সাহস ডেস্ক

বিজেপির র্শীষ নেতা মুকুল রায় পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে দাবি করেছেন। সোমবার (৪ মার্চ) বিকালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা সঙ্গে দেখা করে তাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিজেপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে যদিও সরকারি রাজ্যটির শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে দু’দিন আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ওরা তো দাঙ্গা বাধাতে চায়। ওদের চিন্তাই হচ্ছে অশান্তি করা। রাজ্যের মানুষ ওদের ভোটের মধ্যদিয়ে জবাব দেবেন। বিজেপিকে তেমন গুরুত্ব দিতেও নারাজ ওই তৃণমূল নেতা। 

মুকুল রায় এক সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী এমন কি তৃণমূলের ‘সেকেন্ডে ইন্ড কমান্ড’ বলেও মনে করা হতো। বছর দুই আগে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। সারদা, নারদা কান্ডের সঙ্গেও নাম জড়িত বিজেপির এই শীর্ষ নেতার। 

সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় মুকুল রায় আবার দলের অফিসে আয়োজিত আরেক সাংবদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারে ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন। সম্প্রতি তৃণমূল দু’জন সাংসদকে দল থেকে বহিস্কার করেছে। সেই দুজন সাংসদের একজন সৌমিত্র খাঁ এবং অনুপম হাজারা বিজেপিকে পা রেখেছেন। দুজনই মুকুল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত ছিলেন।

মুকুল রায় এদিন বলেন, বিজেপিতে বুহ সেলিব্রেটি আসতে চাইছেন। এমন কি তৃণমূলেরও কয়েকজন সাংসদের নামও জানান তিনি। মুকুল রায় বলেন, আসলে এই মুহুর্তে অনেকেই আসতে চাইছেন কিন্তু তারা আবার ভাবনাচিন্তাও করছেন। তৃণমূল ছাড়লেই তাদের বিরুদ্ধে ৫০-৬০টা করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। 

এ সময় তিনি অনুপম হাজার কথা বলেন ওই বিজেপি নেতা। বলেন, অনুপম হাজারা বিজেপিতে যোগ দেবে শিগগিরই। কিন্তু সে এখনও সেটা ঘোষণা করতে পারছে না। কেননা ঘোষণা করলেই ওর বিরুদ্ধে তৃণমূল মামলা দেবে। 

মুকুল রায় এর আগে বিকালে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের জানান, দুদিন আগে বিজেপির একটি বাইকর‌্যালী ছিল রাজ্যব্যাপী। সেই র‌্যালী করতে দেয়েনি পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। প্রশাসনের পুলিশকর্তারাও নিরপেক্ষ নন। সবাই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। তাই এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন না করে বরং লোকসভা নির্বাচনের শেষ দিকে ভোট নেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে। 

সূত্র: জি নিউজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত