নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৭

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা হত্যা মামলায় দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়ারচর এলাকার ইদ্রিস চকিদারের স্ত্রী সালেহা বেগম ও কোতয়ালের বাগ এলাকার বিল্লাল মুন্সীর ছেলে মনির হোসেন। আমৃত্যু রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি সালেহা বেগম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মনির হোসেন পলাতক।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলো ফতুল্লার কোতয়ালের বাগ এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. কাজল মিয়া, লাল খা এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো. জুয়েল, কোতয়ালের বাগ এলাকার মো. আব্দুল ছালামের ছেলে নুরুল ইসলাম, বরগুনা জেলার আব্দুল ছালামের মাজেদুল ইসলাম মঞ্জু ও যশোর জেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে লিটন। যাবজ্জীবন রায় ঘোষণার সময়ও আদালতে আসামিরা অনুপস্থিত ছিলো।
রায় ঘোষণার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল ফতুল্লা থানায় করা হত্যা মামলায় দুজনের আমৃত্যু ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় একজন আসামি ছাড়া সবাই অনুপস্থিত ছিলো।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শিপ্রা মোদক জানান, ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার আনিছ মিয়ার ভাড়াটিয়া কবির হোসেন (৩৫) বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে বাসার পাশে একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। আদালত সেই মামলার দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেছেন।