অর্থাভাবে ভর্তির অনিশ্চয়তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুঃচিন্তায় জিহাদ

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ১৬:৪৬

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোটছেলে জিহাদ হাসান তুহিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভর্তির মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন মেধাবী ছাত্র মো. জিহাদ হাসান তুহিন। অর্থের অভাবে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তিনি চলতি ২০২৩ সালে ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের মেধা তালিকার ৫১৯তম অধিকার করেন জিহাদ।

বাবা নির্মাণশ্রমিক শাহজাহান আলী ও মা গৃহিনী জাহানারা বেগমের ছেলে দুটি ছেলে। ছোটছেলে মো. জিহাদ হাসান তুহিন ভর্তি মেধা তালিকায় স্থান করে নিলেও বড়ভাই জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। বড় ছেলে টিউশনি করে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নেন বলে জানান এ দম্পত্তি।

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। তবে দুটি সন্তানের অর্জনে গর্বিত বাবা-মা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুঃচিন্তায় রয়েছেন জিহাদ ও তার পরিবার। মেধাবি জিহাদ শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটে মেধা তালিকায় ৩৬তম এবং গুচ্ছ বি ইউনিটে মেধা তালিকায় ৪৭১তম হয়েছেন। 

হতদরিদ্র পরিবারের জিহাদ এতদিন পড়াশোনো করেছেন বিভিন্ন  ব্যক্তি ও সংগঠনের সহযোগিতায়। কিন্তু এবার কে যোগান দেবেন সেই অর্থের। পরিবারের পক্ষে ঢাবিতে ভর্তির প্রায় ২০ হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। যে কারণে তার ভর্তির অনিশ্চিত।

জিহাদ হাসান জানান, ২০২০ সালে রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর ভর্তি হন মাহতাব উদ্দিন কলেজে। ২০২২ সালে সেখান থেকে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেন।

জিহাদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে এবং গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘বি’ ইউনিটে তিনটিতে মেধা তালিকায় আছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

জিহাদ আরো জানান, বাড়িভিটা ৪ শতক জমিতে একটি টিনের ঘর তাদের। ঘরে জায়গা না হওয়ায় বাইরে একটি চালা দিয়ে সেখানে লেখাপড়া করেন। 

জিহাদের মা জাহানারা বেগম জানান, বিভিন্ন এনজিও এবং মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চলে তার পড়ালেখা। এইচএসসি পড়ার সময় ‘হেল্পফুল হ্যান্ড’ নামে একটি সংগঠন আর্থিক সহযোগিতা করেছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়ালেখা নিয়ে চিন্তিত তার মা।

ইটভাটার শ্রমিক জিহাদের বাবা শাহজাহান আলী জানান, গ্রামের পাশে ইটাভাটায় কারজ করতেন, সেই কাজ এখন বন্ধ। বড়ছেলে জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন নিজে টিউশনি করেন। এখন ছোট ছেলে জিহাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে হবে। তাই আর্থিক সাহায্যের দাবি জানান তিনি। 

আর্থিক ও পরামর্শের জন্য যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন তার বাবা শাহজাহান আলী।

  • মুঠোফোন: ০১৩১৬-৪৮৮৬১৬, বিকাশ নাম্বার ০১৩১৬-৪৮৮৬১৬ ও নগদ নম্বর ০১৩২২-০৯৮৭৬১।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত