কলাপাড়ার সাবেক ইউএনও

আবু হাসনাতের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সাবেক ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকের অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, ঘুষ ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের নির্দেশক্রমের অনুরোধপত্র প্রাপ্তির পর পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিনদ্বীপ এলাকার জনৈক আবুল কালাম দুদক প্রধান কার্যালয়ে ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক’র বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে সম্পদ অর্জন, ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগে আবু হাসনাত (পরিচিতি নম্বর-১৭২৭৩) কক্সবাজার জেলায় এলএও হিসেবে কর্মরত অবস্থায় শত কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় দুদক আইনের দু’টি মামলায় (০৫/২০২০, ২২/২০২০) আসামীর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হন, যা দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

গত ২১ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর ৫২ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ পত্র আসে। যার নং ২৪। এরপর থেকে তদন্ত শুরু করে দুদক।

জানা যায়, ইউএনও আবু হাসনাত পূর্বে কক্সবাজার জেলার এলএও ছেলেনম সেকানে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ কেলেংকারীর অভিযোগে তার নামে কক্সবাজার জেলা স্পেশাল জজ আদালতে দুদক আইনে ০৫/২০২০ এবং ২২/২০২০ দুইটি নিয়মিত মামলা রুজু হয় ওই মামলা মাননীয় বিচাক দুদককে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। মামলা দুটি বর্তমানে দুদকে তদন্তাধীন। এছাড়াও তার নামে কক্সবাজার বিভিন্ন আদালত ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে সাধারণ জনগণ মামলা ও অভিযোগ দিয়েছেন সেগুলোও তদন্তাধীন রয়েছে।

abuhasnat

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান, ইউএনও আবু হাসনাত অবৈধ ভাবে সম্পদ অর্জন, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। কক্সবাজার জেলায় এলএও হিসেবে কর্মরত অবস্থায় শত কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়মে জড়িয়ে দুদক আইনের দু’টি মামলায় আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন, যা দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, দুদক আইনে ০৫/২০২০ এবং ২২/২০২০ দুইটি নিয়মিত মামলা দুদকে তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। মামলার কাজ চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা জানাতে পারবো।

abuhasnat3

উল্লেখ্য, আবু হাসনাত (পরিচিতি নম্বর-১৭২৭৩) কক্সবাজার জেলায় এলএও হিসেবে কর্মরত অবস্থায় শত কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় দুদক আইনের দু’টি মামলায় আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন, যা দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। সূত্রমতে আরও জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের সিদ্ধান্তে কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারকে অনুরোধ পত্র প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালীকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ পত্র প্রেরণ করেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, সাবেক ইউএনও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে আমাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সূত্রমতে আরো জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের সিদ্ধান্তে কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডল তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারকে অনুরোধ পত্র প্রেরন করেন। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: নজরুল ইসলাম ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালীকে নির্দেশক্রমে অুনরোধ পত্র প্রেরণ করেন।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, সাবেক ইউএনও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে আমাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সাহস২৪.কম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত