আখ যায় গুড় ব্যবসায়ীর কাছে, চিনিকল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:২৩

অনলাইন ডেস্ক

মৌসুম শেষ না হলেও আখ না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেড এর মাড়াই কার্যক্রম। গত বুধবার দিবাগত রাতে চিনিকলটির মাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। জিল বাংলা সুগার মিল সুত্র জানায়, ৯৩ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৬ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৬৫তম মাড়াই শুরু করা হয়।

গতবছরের ২ ডিসেম্বর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জিল বাংলা চিনিকলের ৬৫তম মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করেন। টানা ৯০ দিন মিলটির মাড়াই অব্যাহত থাকার কথা থাকলেও চাষিরা আখ না দেওয়ায় মাত্র ৩৯ দিনের মাথায় মিলটি বন্ধ হয়ে গেছে। জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বি হাসান বুধবার দিবাগত রাত ১২.৪০ মিনিটে জিল বাংলা চিনিকলের ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুম আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বি হাসান বলেন, মিল জোন এলাকায় এখনো শত শত একর জমিতে আখ থাকা সত্বেও আখ সংকটের কারণে মিলটি বন্ধ করতে হয়েছে। কৃষকরা চিনিকলে আখ না দিয়ে গুড় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার আখ চাষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গিয়েও কোন কাজ হয়নি। ফলে ১১ জানুয়ারি বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে বন্ধ করতে হয়েছে মিলের মাড়াই কার্যক্রম। যে কারণে এবারো বড় অংকের লোকসান গুনতে হবে দেশের অন্যতম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিলকে।

মিলের এমডি মো. রাব্বি হাসান, কৃষি মহা-ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন ও ডিএম আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, আখের অভাবে মিলের মাড়াই বন্ধ ঘোষণা করা হলেও মিলের তিলকপুর, মাদারচর, চর কালিকাপুর, গোয়োলের চর, মেরুরচর, নান্দিনা, পিয়ারপুর তারাটিয়া জোনসহ অনেক এলাকায় শত শত একর জমিতে আখ রয়েছে। জানা গেছে, ১৯৫৮ সালে স্থাপিত দেশের অন্যতম লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠান লোকসানের ভারে নুইয়ে পড়েছে। লোকসানের পরিমাণ শতকোটি টাকার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

সাহস২৪.কম/এএম.