লোহাগড়ায় দুই ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার

নড়াইলের লোহাগড়ায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে লোহাগড়া পৌরসভার মদিনাপাড়া এলাকা হতে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়। তদের কাছ থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত পুলিশ স্টিকার সম্বলিত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী স্বাধীন এর বড় ভাই ইবনে ইয়াসিন (২৮) ওই দুইজনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আটকৃতদের গ্রেপ্তার দেখায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র-দিঘলিয়া গ্রামের আকরাম মোল্যার ছেলে তুহিন মোল্যা (৩৫) ও বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার আড়োডেকি গ্রামের মো.এনায়েত শেখের ছেলে মো. রিপন শেখ (৩০)।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী ইবনে ইয়াসিন এর ছোট ভাই স্বাধীন এর পুলিশে চাকরির জন্যে খোঁজ খবর নেয়। পরে তার দূর-সম্পর্কের ভগ্নিপতির সাথে পরিচয় হয় রিপন মোল্যার। এরপর রিপন মোল্যার সূত্র ধরে তুহিন মোল্লা ও তার পরিবারের পরিচয় হয় এবং পুলিশে চাকরির বিষয়ে আলাপ হয় এক পর্যায়ে তুহিন মোল্যা নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দেয়। পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি নিতে হলে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন।

তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যম দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দিবে বলে জানায়। তারা এ কথা বিশ্বাস করে এবং তাদের কথা অনুযায়ী প্রথমে চার লক্ষ টাকা এবং ট্রেনিং এ যাওয়ার পর বাকি ছয় লক্ষ টাকা প্রদান এর শর্তে রাজি হয়ে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বিকালে উপজেলার বসুপটি নিজ বাড়িতে তার ভাই এবং পরিবারের লোকজনের সামনে তিন লক্ষ দশ হাজার টাকা দিলে রিপন মোল্যা ও তুহিন মোল্যা একটি মোটরসাইকেল (গোপালগঞ্জ ল-১১-১৮৬৭) যোগে চলে যায়। 
পরবর্তীতে তার ভাইকে চাকরি দিতে পারে নাই। এরপর তার ভাইকে চাকরি দিবে বলে গত ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে লোহাগড়া পৌরসভার মদিনাপাড়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন এর বাড়িতে বসে আলোচনা করে। পরে এক লক্ষ টাকা দিলে বর্তমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরি দিবে বলে জানায়। তাদের কথা সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের একটি দল একটি মোটরসাইকেলসহ তাদের আটক করেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এসময় তাদের থেকে পুলিশের সরকারি ক্যানভাস-স্যু ও পুলিশ স্টিকার সম্বলিত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে বিকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/এএম.