‘বড় ভাই’ কে খুঁজতে মাঠে নেমেছে পুলিশ

কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান ‘বড় ভাই’ আরমান হোসেন ও তার অনুসারীদের খুঁজতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জানা গেছে, চরভূতা ও চরমনসা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে টিকটকার আরমান একটি ‘কিশোর গ্যাং’ বাহিনী গঠন করছে। এ দলের সদস্যরা চাঁদাবাজি, হামলা-ভাংচুর, মাদক সেবন ও বিক্রিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

ছোট-বড় সবাই আরমানকে ‘বড় ভাই’ বলতে হয়। নয় আরমান ও তার অনুসারীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীদের আসা-যাওয়ার পথে পথরোধ ও উত্ত্যক্ত করতো তারা। এলাকায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল মহড়া দেয় এ দলের সদস্যরা। সন্ধ্যা নামলে আরমানের বাড়ীর সামনে বৈঠক খানায় চলতো মাদক ও জুয়ার আসর। এখান থেকে তাদের সকল পরিচালনা কার্যক্রম শুরু হয়। আরমান ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে ও ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী।

সর্বশেষ গত বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শরীফ ও মোহন নামে দুই-ভাইকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আরমান ও তার অনুসারীরা। এসময় নুর হোসেন নামে এক টেলিকম ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা লুটে নেয় তারা। এরপরের দিন আরমানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শীরফ-মোহনের বড় ভাই নূরে-আলম।

রবিবার (০৬ নভেম্বর) বিকালে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের বালুরট্যাক এলাকায় আরমানের বাড়িতে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় সন্দেহভাজন হাসান নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। আরমান ও তার অনুসারী সাগর, রাব্বি, রাকিব, ফারুক ও শুভ বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ২২ বছরের ছেলে আরমান নিজেকে এলাকায় বড়ভাই হিসাবে পরিচিত করেছে। একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী গড়ে তুলছে। সে চাচ্ছে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করতে। কিন্তু আমরা সেইটা কখনও করতে দিব না। এ দলের হাসান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বালুরট্যাকসহ লক্ষ্মীপুরের যেখানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা হবে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.