থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:১৭

লক্ষ্মীপুরে একটি চুরির ঘটনায় থানায় বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে মো. শওকত (৪২) নামে এক কাঠমিস্ত্রীর গলা ও বাম পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দেওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শওকতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও শওকতের পরিবার সূত্র জানায়, সম্প্রতি একই গ্রামের কাতার প্রবাসী বেলাল হোসেনের ঘরে শওকত ও তার বড় ভাই জব্বার কাজ করতে যান। দুইজনই কাঠমিস্ত্রী। ৫-৬ দিন আগে বেলালের স্ত্রী প্রীতির কয়েকটি স্বর্ণালংকার পাওয়া যাচ্ছিলোনা৷ এতে তিনি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় শওকত ও তার বড় ভাই জব্বারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ উভয়পক্ষকে বুধবার সন্ধ্যায় থানায় ডাকেন। উভয়পক্ষকে নিয়ে থানার ওসি ঘটনাটি নিয়ে বৈঠকে বসেন। এতে কাঠমিস্ত্রী দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বৈঠক শেষে রাত ৮টার দিকে দেওপাড়া গ্রামে শওকত শ্বশুর বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়ি ও তার বাড়ি একই গ্রামে কাছাকাছি এলাকায়। শ্বশুরের সঙ্গে দেখা করেই তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দূর্বৃত্তরা তার গলা ও ডান পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।

শওকতের বড় ভাই আবদুল জব্বার বলেন, শওকত আমার সঙ্গে ওই বাড়িতে কাঠের কাজ করতে যায়। এরমধ্যে বেলালের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ করা হয় আমাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা নিরপরাধ। থানায় বৈঠকেও আমরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। পরবর্তীতে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে হত্যাচেষ্টা করে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব দাস বলেন, রোগীর গলার ওপরের চামড়া কেটে জখম হয়েছে। মারাত্মক কোন ঘটনা ঘটেনি। তবুও আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। শওকতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত