নিখোঁজ রহিমা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ছিলেন: পুলিশ

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৩৭

সাহস ডেস্ক

নিখোঁজের ২৯ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে খুলনার রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ছিলেন। বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খুলনার দৌলতপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য জানান।

মোল্লা জাহাঙ্গীর বলেন, রহিমা তার আত্মগোপনের বিষয়ে পুলিশের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না এবং তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে তিনি ‘নির্বাক’ রয়েছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিষয়টি আরও তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে কেএমপির একটি দল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রহিমাকে অক্ষত অবস্থায় পায়। রাত ২টার দিকে রহিমা বেগমকে দৌলতপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ি থেকে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কুদ্দুসের স্বজনেরা পুলিশকে জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রহিমা ওই বাড়িতেই ছিলেন। এ প্রসঙ্গে রহিমার ছেলে সাদী বলেন, ‘যেহেতু আমার মা জীবিত উদ্ধার হয়েছে, সেহেতু তার মুখে নিখোঁজের বিষয়টি জানলে তিনি ভালো বলতে পারবেন। এ ঘটনায় যদি আমার পরিবারের কেউ জড়িত থাকে তবে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে বের হন রহিমা খাতুন (৫৫)। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে বের হয়ে সন্তানেরা মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়ার পর তাকে না পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।

গত ২০ দিনেও রহিমার খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে মামলাটি পিবিআইয়ের যাচ্ছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নথি হস্তান্তর হয়নি। পিবিআই যেদিন চাইবে সেদিনই নথি হস্তান্তর করা হবে। এ জটিলতার কারণে এ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। পিবিআই মামলাটি বুঝে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত