মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত: সীমান্তে গোলাগুলির জন্য আরাকান আর্মি দায়ী

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৫২

সাহস ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে আরাকান আর্মিকে দায়ী করে বলেছেন, সীমান্তে বাংলাদেশের অংশে আরাকান আর্মিরাই মর্টার শেল ও গোলাগুলি চালাচ্ছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে এ কথা বলেন তিনি।

পরে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা স্থল ও আকাশ সীমা লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয় বলে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে।’

অব. মো. খুরশেদ আলম

মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আজ আমরা বাংলাদেশের সব সংস্থাকে নিয়ে একটি সভা করেছি। আলোচনায় এটা উঠে এসেছে যে সেখানে যা ঘটছে, সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমরা বলেছি, এর রেশ যাতে আমাদের ওপর না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে সীমান্তে সজাগ থাকতে বলেছি। বাড়তি জনবলের প্রয়োজন হলে তারা সেটা মোতায়েন করবে। এরপরও সাগর দিয়ে বা অন্য পথে নতুন করে রোহিঙ্গারা যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছি।’

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব আরও জানান, আগেরবার মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আসার সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু লোকজনের যোগসাজশ ছিল। এবার যাতে সেটা না হয়, সে জন্য সব সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে এক মাসের মধ্যে চারবার তলব করার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘সীমান্তে যেসব ঘটনা ঘটছে, সেসবের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আজ আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদলিপি দিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি যে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কীভাবে বিষয়টির সুরাহা করা হবে, সেটি মিয়ানমারকে চিন্তা করতে হবে। কিন্তু মিয়ানমারের গোলা যেন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে না আসে, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়, দায়িত্বটা মিয়ানমারের। বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও শান্তিকামী রাষ্ট্র। আমরা অনেক দিন ধরে অনেক ধৈর্য ধরেই সহ্য করে যাচ্ছি। তাদের বলেছি, আপনারা আপনাদের সমস্যার সমাধান করুন। যাতে করে আমাদের এখানে কোনো রক্তারক্তি ও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে।’

রাখাইন রাজ্যে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দুই মাস ধরে তুমুল লড়াই চলছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ের জেরে গত শুক্রবার মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া মর্টারের গোলায় এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত ও কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত