বাংলাদেশের ভেতর মিয়ানমারের বিস্ফোরণ, প্রতিবাদে বিজিবি

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:১৩

সাহস ডেস্ক

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় শুক্রবার রাতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত ও রোহিঙ্গা শিশুসহ ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কূটনৈতিক পর্যায়েও প্রতিবাদ জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান।

এর আগেও মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়েছে। তখনও কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়া বন্ধ হয়নি। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান, ‘মাইন বিস্ফোরণের ঘটনাটি মিয়ানমারের ভেতরের অংশে ঘটায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। কারণ সেটি তাদের সীমানা। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তি বাংলাদেশি তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য। তিনি মিয়ানমার অংশে যাওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং তিনি সেই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহতের ঘটনাটি গত রাতে ঘটেছে। আমরা রাত থেকেই তথ্য সংগ্রহ করছি। এখনো ২টি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় আছে। সেগুলো ঘিরে রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় চলাচলে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।’ ঘটনার পরপরেই বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক পর্যায়েও প্রতিবাদ জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

বেশ কয়েকদিন ধরেই মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশে দেশে এসে পড়ছে। এটি কেন বন্ধ হচ্ছে না এবং এটি বন্ধে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে। আমরা শুরু থেকেই সতর্ক আছি। মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারেন, সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। তাদের গোলা যেন আমাদের দেশে না আসে সে বিষয়ে তাদেরকে আগেও জানানো হয়েছে। নতুন করে আবারো জানানো হবে এবং কূটনৈতিকভাবেই এটি বন্ধ করার জন্য আলোচনা হচ্ছে।’

সবশেষ শুক্রবার রাতে তমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ ৫ জন। এর আগে একই দিন দুপুরে এই সীমান্তেই হেডম্যানপাড়ার ৩৫ নম্বর পিলারের ৩০০ মিটার মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন বাংলাদেশি এক যুবক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত