কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২২, ১৯:৩৩

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির (জেইসি) ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর হোটেল এভারেস্টে যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির ‘হার্নেসিং অব ওয়াটার রিসোর্সেস অ্যান্ড মিটিগেশন অব ফ্লাডস অ্যান্ড ফ্লাড ড্যামেজেস’ শীর্ষক ষষ্ঠ সভা শুক্রবার (২৯ জুলাই) শেষ হয়।  দুই দিনব্যাপী সভা ফলপ্রসূভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে বুধবার (২৭ জুলাই) নেপালে পৌঁছে সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী মিসেস পামফা ভুসালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে প্রতিনিধিদল নেপালের কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নেপাল সরকারের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পাম্পা ভুষালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত ২৫-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করেন। সফরের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দল গত ২৬ এপ্রিল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে একটি বৈঠক করে। বৈঠকে বাংলাদেশের সেচ প্রকল্পের বিষয়ে উপস্থাপন করা হয় এবং নেপালের পক্ষ থেকে জেইসির সভা করার বিষয়ে আগ্রহের কথা জানানো হয়। এর আগে জেইসির পাঁচটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি জেইসির পঞ্চম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

জেইসি’র ষষ্ঠ সভায় এই অঞ্চলে জল সম্পদের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার, সেচের পাশাপাশি বন্যা প্রশমনে যৌথ সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দুই পক্ষই বন্যা পূর্বাভাসের পাশাপাশি অভিন্ন নদীগুলির অববাহিকা-ব্যাপী ব্যবস্থাপনার জন্য রিয়েল টাইম হাইড্রো-মেটিওরোলজিক্যাল ডেটা ভাগাভাগি করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে এবং জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায় যৌথ উদ্যোগের প্রকল্পগুলি শুরু করার উপর জোর দিয়েছে। জলসম্পদ ব্যবহার, বন্যা ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করার বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও গবেষণা চালানোর জন্য সভায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জয়েন্ট টেকনিক্যাল স্টাডি টিমের (জেটিএসটি) প্রথম সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেইসির পরবর্তী সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১০ সদস্যের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং নেপালের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নেপাল সরকারের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের পানিসম্পদ সচিব সাগর কুমার রাই। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মাহমুদুর রহমান, উপসচিব তৌফিকুল ইসলাম, মো. নাজমুল ইসলাম ভূইয়া, উপ-পরিচালক মো. মাশহুদুল কবীর, প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) শ্যামল চন্দ্র দাশ, সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম আজহারুল ইসলাম, যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াদুর রহমান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত