জামালপুরে খোলা সেমাই, রং মেশানো পিঠায় বাজার সয়লাব

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২২, ১৮:৪৮

​মশিউর রহমান, জামালপুর

জামালপুর জেলা শহরের আশেপাশের বাজারগুলোতে চলছে খোলা সেমাই এবং নিষিদ্ধ রং মেশানো পিঠার ব্যবসা জমজমাট। এসব সেমাই এবং পিঠা বগুড়া থেকে খুব সহজেই জামালপুর জেলায় ঢুকছে। মদিনা সেমাইয়ের বৃহৎ চাহিদার বাজার হচ্ছে জামালপুর জেলা। এই বিষয়ে জানতে মদিনা সেমাই এর মালিককে ফোন করা হলে তিনি জানান, আমার সেমাই বিএসটিআই অনুমোদিত। খাঁচার খোলা সেমাই কি বিএসটিআই অনুমোদিত এমন প্রশ্নে তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খোলা সেমাই এবং পিঠা ট্রাকে করে সরবরাহ করা হয়, ধুলোবালি ভরে থাকা খাঁচায় এসব সেমাই আনলোড করে তা ধুলোময়লা ভর্তি গুদামঘরে রাখা হয়। দোকানে খোলা অবস্থায় ধুলোবালি জমে আর এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ তা খাওয়ার জন্য ক্রয় করে নিয়ে যায়। জামালপুর শহরের দৈনন্দিন বাজারে এবং নান্দিনা বাজারের অনেক ব্যবসায়ীরা এসব সেমাই এবং পিঠা বগুড়া থেকে এনে জামালপুর শহর সহ জেলার আনাচকানাচে বিক্রি করছে। 

জানা গেছে, জামালপুর জেলার সবগুলো উপজেলায় এসব মানহীন এবং অস্বাস্থ্যকর সেমাই, পিঠা বিক্রি হচ্ছে। সদর উপজেলার নরুন্দি বাজারের আলম স্টোরে নিষিদ্ধ পলিথিনে মুড়িয়ে এসব সেমাই, পিঠা বিক্রি করা হয়। খোলা সেমাই এবং রং মেশানো পিঠার ক্রয় বিক্রয়ের বিষয় জানতে জামালপুরের সাত্তার হাজী কে ফোনে পাওয়া যায়নি। নান্দিনার আনোয়ারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, শুধু আমি না আরো অনেকেই এই ব্যবসা করে। তিনি আরও বলেন, আপনারা কারখানা বন্ধ করেন আমরা মাল আনবো না। এসব খোলা সেমাই এবং রং মেশানো পিঠা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলে জানিয়েছে সচেতন মহল।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি করা এসব সেমাই কিংবা রং মেশানো পিঠা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানান জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উত্তম কুমার। তিনি জানান এসব খাদ্য কিডনি এবং লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব খাদ্য ক্যান্সারের কারণ হতে পারে অনেক সময়। জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান জানান, অস্বাস্থ্যকর খোলা সেমাই এবং পিঠা বিক্রয় ঠেকাতে  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত