লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূর গলায় ছুরি ধরে ছিনতাই

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২২, ১৪:২৪

পিতার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে এক গৃহবধূর গলায় ছুরি ধরে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ছিনতাই করেছে অটোরিকশা চালক ও যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা।

রবিবার (১২ জুন) রাত ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার খিলবাইছা এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের সময় অপূর্ণা রাণীকে মারধরও করে ছিনতাইকারীরা। বাবার বাড়ি থেকে  (সিএনজি) অটোরিকশায় শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন অপূর্ণা রাণী নাথ। সন্ধ্যার কিছু সময় পর সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় করে রওনা করেন তিনি। ওই অটোরিকশায় যাত্রীবেশে ওঠেন আরও দুই যাত্রী। পথে ফাঁকা মাঠে অটোরিকশা থামিয়ে অপূর্ণার গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে সব ছিনিয়ে নেয় ওই দুই যাত্রী ও চালক।

ছিনতাই ও মারধরের শিকার অপূর্ণা রাণী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী রবি রায় নাথের স্ত্রী। ঘটনার পর অপূর্ণার স্বামী রবি লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে রবি রায় নাথ উল্লেখ করেছেন, তার বাবার বাড়ি সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কালিবাজার এলাকায়। রবিবার বিকেলে তিনি ওই এলাকায় একটি বিয়ের দাওয়াতে যান। দাওয়াত শেষে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। ফেরার পথে তার ভাই হৃদয় দেবনাথ তাকে ৯৫ হাজার টাকা দেন। পরে তিনি কালিবাজার থেকে নিজবাড়ি লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। ওই অটোরিকশায় আরও দুজন যাত্রী ছিলেন। অটোরিকশাটি খিলবাইছার নান্টু মিয়ার ইটভাটা এলাকায় পৌঁছালে থামানো হয়। এসময় পাশের একজন যাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার নাম করে অটোরিকশা থেকে নামেন। সেখান থেকে ফিরেই অপূর্ণার গলায় ছুরি ধরেন ওই যাত্রী। এসময় অটোরিকশায় বসে থাকা আরেক যাত্রীও তার সঙ্গে যোগ দেন। তারা জোর করে অপূর্ণাকে পাশের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান।

অপূর্ণা চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখের মধ্যে লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ৯৫ হাজার টাকা, আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার (প্রায় ছয় লাখ টাকা দাম) ও একটি দামি মোবাইল ছিনিয়ে নেন তারা। পরে তাকে ফেলে রেখেই সিএনজিচালক ও দুই যাত্রী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। চালক ও ওই দুই যাত্রীকে অপূর্ণা চেনেন না। অপূর্ণার ভাই হৃদয় দেবনাথ বলেন, দিদির সঙ্গে আমারও ওদের বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। কাজের চাপ থাকায় যেতে পারিনি। আমরা ছিনতাইকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানার দুজন কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্ত করছে। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

সাহস/রকি/রাজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত