খালেদা জিয়ার মাইল্ড অ্যাটাক, উন্নত চিকিৎসার অনুরোধ

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২২, ১৯:৪৮

সাহস ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তাররা জানায়, রক্তনালীতে ৯৯ ভাগ ব্লক হয়েছে বেগম জিয়ার। এজন্য তাকে রিং পরানো হয়েছে। এতে হার্টের সমস্যা সাময়িকভাবে রিলিফ পেলেও দ্রুতই উন্নত চিকিৎসা লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। শনিবার (১১ জুন) বিকেল ৪টার দিকে গুলশানে সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মি. আলমগীর। তাই যত দ্রুত সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

অবহেলায় কোনো অঘটন ঘটে গেলে এ দায় সরকারকে বহন করতে হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি। এসময় দলটির মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার কোনো কর্ণপাত করেনি’-বলে জানান মির্জা ফখরুল।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আবার অসুস্থ হওয়ার পর প্রমাণিত হলো যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হলে খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে।’

শুক্রবার (১০ জুন) মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দিবাগত রাত ৩টা ২০মিনিটের দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সাবেক এ সরকার প্রধানের চিকিৎসা নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। সেখানে রেখেই এনজিওগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। খালেদা জিয়া অসুস্থ এমন সংবাদ পেয়ে তার বাসা ফিরোজায় পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখান থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আসেন তিনি। শনিবার ভোরে প্রাথমিকভাবে সাংবাদিকদের তার অসুস্থতার তথ্য জানান আলমগীর। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া, কারাবন্দি ছিলেন দীর্ঘদিন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারিকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান তিনি। এরপর একাধিকবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছিলেন। এ সময়ের মধ্যে তিন দফায় প্রায় ৬ মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি ফুসফুস জটিলতা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যা, লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে ভুগছেন।

সাহস২৪.কম/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত