পাবনায় দুর্বৃত্তের হামলায় চেয়ারম্যানের কর্মচারী নিহত

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২২, ১৮:০৫

অনলাইন ডেস্ক

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বাড়ির কর্মচারী আব্দুল মতিনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় চেয়ারম্যানের ভাই জুয়েল রানা গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (০৪ মে) রাত ১০টার দিকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আওলাঘাটা ভূনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত মতিন উপজেলার পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করতন আব্দুল মতিন। সম্পর্কে চেয়ারম্যানের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই। ঘটনার আগে চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের ভাই জুয়েল রানা সহ আব্দুল মতিন রাতে পৌরসভার ফেসওয়ান মহল্লার মেয়ে জামাই বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গতিরোধ করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মতিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এসময় সঙ্গে থাকা জুয়েল রানাকে কুপিয়ে হত্যা করতে চাইলে তিনি ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন। ঘটনার পর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গুরুতর আহত জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার অসুস্থতার জন্য তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি শনিবার (৪ জুন) সারাদিন পাবনা শহরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’ সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার প্রকৃত কারণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি। হয়ত পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার পর রবিবার (৫ জুন) সকালে ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

সাহস২৪.কম/এএম/এসটি/এসকে.