ফেনসিডিল আসা কমেছে, বেড়েছে ইয়াবা-আইস: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২২, ২০:০১ | আপডেট: ২৪ মে ২০২২, ২০:১৮

অনলাইন ডেস্ক

মাদক নির্মূলে ৩টি উপায়ে কাজ করছে সরকার। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করায় দেশে ফেনসিডিল আসা কমেছে। তবে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা ও আইস আসা বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে সম্পূর্ণ সেবা দিতে পারছি না। আমাদের কিছু সীমাবন্ধতা রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞ চিকিৎসক নেই। সরকারিভাবে আমরা তেজগাঁওয়ে যেটা চালাচ্ছি সেখানেও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তবে বসে থাকলে তো চলবে না। বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

তিনি বলেন, ৩টি উপায়ে আমরা মাদকাসক্তি নিরাময় ও মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও হার্ম রিডাকশন। আমাদের সীমান্ত এলাকা অনেকগুলো খুব দুর্গম, অনেকগুলো এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে। সে কারণে বিভিন্নভাবে সীমান্ত দিয়ে মাদক ঢুকে পড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে মাদক আসতে না পারে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতের সঙ্গে ফেনসিডিল সম্পর্কে অনেকবার আলাপ হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল উৎপাদন বন্ধের জন্য তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা বেড়েছে। এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে আইস, যেটা আরও ভয়ঙ্কর। এগুলো আমাদের যুব সমাজের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগের বেশি কর্মক্ষম পুরুষ রয়েছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ যুবক। সেই জায়গায় যদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে ২০৪১ সালের যে স্বপ্ন দেখছি উন্নত বাংলাদেশের সেখানেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান তিনি।

“বর্তমানে আমাদের ৩৬২ নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলো মানসম্পন্ন নয়। এই জায়গায় আমাদের আরও এগুতে হবে। কারণ আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি,” বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন আমাদের দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৩৬ লাখের কথা। কিন্তু আমি মনে করি সংখ্যাটি আরও বেশি। আমাদের কারাগারে বন্দি ৬০ শতাংশ মাদক চোরাকারবারি বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ঢাকা বিভাগে আসক্তের সংখ্যা বেশি।

সাহস২৪.কম/টিএ/এসটি/এসকে.