জেএমবি সদস্য খুবির সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড

বিস্ফোরক আইনে নি‌ষিদ্ধঘোষিত জ‌ঙ্গি সংগঠ‌ন জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সাথে সম্পৃক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ছাত্রকে ২০ বছ‌রের সশ্রম কারাদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত। একইসঙ্গে তা‌দের এক লাখ টাকা জ‌রিমানা অনাদা‌য়ে আরও ৬ মা‌সের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হ‌য়ে‌ছে। রবিবার (২২ মে) দুপুর ১২টার দিকে খুলনার অতি‌রিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদাল‌তের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা ক‌রেন। আদালতের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ ও শামীম আহমেদ পলাশ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ বলেন, এ দুইজন আসামির বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। আদালতে তারা কয়েকটি স্থানে বোমা হামলার কথাও স্বীকার করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আদালত অতি অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করেছে। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। দেশের অন্যান্য মামলাগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার মোড়াবাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে নুর মোহাম্মদ অনিক ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘাশুরদুয়ার এলাকার মো. রেজাউল করিমের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম। তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। 

আদলত সূত্রে জানা গেছে,  ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে গোপন সংবাদে পুলিশ জানতে পারে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার পুরাতন গল্লামারী রোডের হাসনাহেনা নামক বাড়ির তিনতলা ভবনের নিচ তলায় উত্তর পাশের কক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র কয়েকজন অবস্থান করছে। সেখানে তারা সন্ত্রাসী কার্যকালাপের পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওইদিন রাত সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেএমবি’র সদস্য বলে পরিচয় দেয়।

এ ব্যাপারে ওইদিন রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রোহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে তাদের দুইজনের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২২ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন মোট ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.