কামরাঙ্গীচরে গ্যাস সংযোগ ফিরবে কবে?

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২২, ২০:৪৫

সাহস ডেস্ক

বকেয়া বিল শোধ না করায় ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ঠেকাতে কামরাঙ্গীরচরে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গ্যাস বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ উঠেছে চরমে। ভুক্তভোগিদের দাবি, 'নিয়মিত বিল পরিশোধ করে আসলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।' তিতাস গ্যাস কতৃপক্ষ জানায়, বৈধ সংযোগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অবৈধ সংযোগ। এর মধ্যে বকেয়া বৈধদের বিলও। এমন অবস্থায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে এলাকাটির গ্যাস সরবরাহ। গত ১০ মে থেকে কামরাঙ্গীরচর বিতরণ লাইনের অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোতে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়।

তিতাস গ্যাসের ওই জোনের সূত্রমতে, সেখানে বৈধ গ্রাহক ১২ হাজার; অথচ সংযোগ এক লাখেরও বেশি। এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানে সোমবার (১৬ মে) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে স্থানীয় কাউন্সিলররা। বৈঠকে তিতাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বকেয়া বিল আদায় এবং অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেই ওই এলাকায় বৈধদের গ্যাসের সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “সোমবার তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা বলেছে আগামী ১৯ তারিখ কামরাঙ্গীরচরে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় করা হবে।” বৈঠকে তিতাস জানিয়েছে “তাদের অনেক টাকা বকেয়া। এর বাইরে প্রচুর অবৈধ সংযোগ। তিতাস বলেছে, তারা আগে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে। তারপর বকেয়া আদায়ে তৎপর হবে।” ১৯ তারিখের ওই বৈঠকের আগে গ্যাস সংযোগ ফেরার কোনো সম্ভাবনা আছে কী না জানতে চাইলে কাউন্সিলর বলেন, “১৯ তারিখের পরে কবে ফিরবে সেটাও বলা যাচ্ছে না। তিতাসের বক্তব্যে যুক্তি আছে। তারা যখন বলেছে মত বিনিময় করবে, দেখা যাক, আর এভাবেতো চলতে পারে না। অবৈধ সংযোগ থাকবে আবার বৈধরা বিল দেবে না- এটাতো ঠিক নয়।”

গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় বাড়তি টাকায় সিলিন্ডার কিনে রান্নার কাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। গ্যাস না থাকায় প্রথম কয়েকদিন হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন তারা। কয়েকদিন অপেক্ষায় থাকার পর বিকল্প পথ হিসেবে কেরোসিনের স্টোভ আবার কেউ তো লাকড়ি জ্বালিয়ে রান্না সেরেছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও গ্যাস না থাকায় স্থানীয় খাবার হোটেলগুলোও খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাবার হোটেল কতৃপক্ষ বলছে, 'বিগত দিনগুলো হোটেলের খাবারগুলোও সিলিন্ডারের গ্যাসে রান্না করতে হচ্ছে, খাবারের দাম সে কারণেই বেড়েছে।'

অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ভাড়াটিয়ারা। তারা বলছেন,  “আমরা ভাড়া থাকি। প্রতি মাসে বাড়িওয়ালাকে গ্যাসের বিল দিচ্ছি। আমার তো জানার কথা নয়, সংযোগ অবৈধ? নাকি বিল বকেয়া আছে? আমি তো ভোগান্তিতে আছি।” স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও এর সুরাহা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার এলাকার কাউন্সিলররা বিষয়টা দেখছেন। তিনি নিজেও তিতাসের এমডির সঙ্গে কথা বলেছেন।

সাহস২৪/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত