নাটোরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৭

নাটোরের বড়াইগ্রামে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ছয় জন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ দুইজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ রয়েছে। তাদের সবার পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী রেঞ্জের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম।

নিহতরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে সাদিয়া খাতুন (১২) ও ছেলে কাওসার আহমেদ (১৮), লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি (২৫) ও চাঁপাইনবাগঞ্জের মশিউর রহমান (২৫), টাঙ্গাইলের ভানু প্রামাণিকের ছেলে জলিল (২৫), মাগুরার মিজানুর রহমান (৩০) ও নাটোর সদর উপজেলার আলমগীর হোসেন (৪৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার মহিষভাঙা এলাকায় ‘গাজী অটো রাইস মিলের’ সামনে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিয়াম পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ন্যাশনাল পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই মিলের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি ট্রাককে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাস ও ট্রাক উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হন। পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পর আরও এক যাত্রী মারা যান।

এ দুর্ঘটনার পরপরই বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।  

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।