স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:২৬ | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৬

অনলাইন ডেস্ক

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধার পর উপজেলার টান ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের কাছাকাছি একটি নির্জন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্বিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেঙ্গরপাড়ার মৃত শাহ আলমের ছেলে মো. রাজীব (৩০) এবং চামড়াব এলাকার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. রিফাত (২০)।

আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস।

তিনি বলেন, গতকাল বিকেলে উপজেলার জনতা জুট মিলের এক কর্মচারী স্ত্রীকে নিয়ে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরতে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই স্টেশনের একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে তারা ঝালমুড়ি কিনে খাচ্ছিলেন। তখন রাজীব, রিফাতসহ তিনজন তাদের কাছে আসেন এবং তারা স্বামী-স্ত্রী কি না, তা জানতে চান। পরে যাচাইয়ের নামে তাদের দুজনকে নির্জন স্থানে যেতে বলেন। তারা যেতে না চাইলে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে টান ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের কাছাকাছি একটি নির্জন স্থানে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত তিনজন। বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দেওয়া হয় তার স্বামীকে।

ওই নারীর স্বামী রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানান। পরে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাজিব ও রিফাতকে আটক করে।

এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তোভুগী নারীর ব্যক্তি। এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নরসিংদীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়েছে।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী জানান, ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন চিকিৎসকরা।

তিনি জানান, আসামিদের আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। কাল এই রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করেছে আদালত।